Bangladesh Politics: স্বাধীনতার স্থপতির নাম তালিকা থেকে উধাও! কী বার্তা দিচ্ছে সরকার?

আন্তর্জাতিক

নিউজ পোল ব্যুরো: বাংলাদেশে (Bangladesh Politics) সাম্প্রতিক এক প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে (Freedom fighter) অবদানের জন্য সম্মানিত বহু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে ‘মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল, যাদের মধ্যে রয়েছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (Sheikh Mujibur Rahman), সৈয়দ নজরুল ইসলাম (Syed Nazrul Islam), তাজউদ্দীন আহমদসহ (Tajuddin Ahmed) ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী ৪০০-রও বেশি নেতা। এবার সেই স্বীকৃতি বাতিল করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: Aamir Khan: আইপিএল-এ ভোজপুরী ধারাভাষ্যে আমির খান? জানুন আসল কারণ!”

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)-এর ৯৪তম সভায় এই বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর মার্চ মাসে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম সংশ্লিষ্ট খসড়ায় স্বাক্ষর করেন। সেই মোতাবেক সম্প্রতি একটি অধ্যাদেশ জারি করে বলা হয়, “মুক্তিযোদ্ধা শুধুমাত্র তাকেই বলা হবে, যিনি অস্ত্র হাতে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ করেছেন।” ফলে রাজনৈতিক নেতৃত্ব, যারা যুদ্ধের রণকৌশল তৈরি ও স্বাধীনতা আন্দোলনের (Bangladesh Politics) নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাদের ‘সহযোগী’ হিসাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। আর নয় ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’।

এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অনেকেই বলছেন, এটি ইতিহাসকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিকৃত করার একটি প্রয়াস। শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) সরকারের পতনের পর নতুন শাসকগোষ্ঠী এক নতুন ইতিহাস রচনা (Bangladesh Politics) করতে চাইছে, যেখানে স্বাধীনতার স্থপতি মুজিবুর রহমানের (Mujibur Rahman) ভূমিকাকে ছোটো করে দেখা হচ্ছে। আরও উদ্বেগজনক বিষয় হচ্ছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর নাম বাদ দিয়ে একটি হলের নামকরণ করা হয়েছে রাজাকার ফজলুল কাদের চৌধুরীর নামে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি একটি বিপজ্জনক প্রবণতা! যেখানে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা কেড়ে নিয়ে, ইতিহাসের শত্রুদের নায়ক বানানোর চেষ্টা চলছে। ইউনুস প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তকে অনেকেই ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’ ও ‘ভবিষ্যতের প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করার কৌশল’ হিসেবে দেখছেন।

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT