Preity Zinta mother of 34 daughters:ক্রিকেট মাঠে হারলেও প্রীতির চোখে জল নেই! কারণ, ৩৪ জন অনাথ মেয়ের ‘মা’ হয়ে তিনি আগেই বিশ্ব জিতেছেন!

বিনোদন

নিউজ পোল ব্যুরো:আইপিএল ২০২৫-এর ফাইনালে পাঞ্জাব কিংসের পরাজয়ের পরও, মালকিন প্রীতি জিন্টা আবারও সবার মন জয় করে নিয়েছেন। তবে এবার কেবল ক্রিকেট মাঠের আবেগ নয়, বরং তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের এক অবিশ্বাস্য অধ্যায় উঠে এসেছে আলোচনায়, যা আজও অনেক মানুষের কাছে অজানা!আপনি কি জানেন, নিজের বিয়েরও বহু বছর আগে, মাত্র ৩৪ বছর বয়সে, প্রীতি জিন্টা একসঙ্গে ৩৪ জন অনাথ মেয়ের ‘মা’ হয়েছিলেন (Preity Zinta, mother of 34 daughters)? অবিশ্বাস্য হলেও এটাই সত্যি। বলিউডের এই ‘ডিম্পল গার্ল’, যিনি পর্দায় দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন, বাস্তব জীবনে তিনি এক নিঃস্বার্থ মানবতাবাদী।

আরও পড়ুন:https://thenewspole.com/2025/06/07/jaish-headquarter-permanently-closed-after-indian-strike/?fbclid=IwZXh0bgNhZW0CMTEAAR4EejFvWbOoHW10EP5SqXGSfF4luGKt3X_Rl8oayqRc8h3yBSgdzXh_j1igVA_aem_UlW_BioGI2J5CFMQ0BAghw

২০০৯ সাল। যখন প্রীতির বয়স ৩৪, তখন তিনি ঋষিকেশের ‘মাদার মিরাকল’ অনাথ আশ্রম থেকে ৩৪ জন অনাথ মেয়েকে দত্তক নেওয়ার এক সাহসী সিদ্ধান্ত নেন (Preity Zinta, mother of 34 daughters)। এই খবর সেই সময় এতটাই গোপন ছিল যে, অনেকের কাছেই তা ছিল কল্পনার বাইরে। প্রীতি নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন এই ৩৪ জন মেয়ের সম্পূর্ণ দায়িত্ব – তাদের শিক্ষা, খাদ্য, বস্ত্র এবং সামগ্রিক লালন-পালনের ভার। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “এই মেয়েগুলোর একসঙ্গে কলকল শব্দ শুনতে কী দারুণ লাগে, তা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। এরা এখন আমার সন্তান, আমার দায়িত্ব।”

নিজের ব্যক্তিগত জীবনের এই মহৎ দিকটি তিনি বরাবরই আড়ালে রেখেছিলেন। যখন সমাজের বহু পরিচিত মুখ ব্যক্তিগত জীবনকে জনসমক্ষে আনতে ভালোবাসেন, তখন প্রীতি নীরবে এই ৩৪টি জীবনকে আলোর দিশা দেখিয়েছিলেন। তাঁর এই পদক্ষেপ কেবল সহানুভূতি নয়, বরং এক গভীর অঙ্গীকারের ফল।

২০১৬ সালে জিন গুডেনাফকে বিয়ে করেন প্রীতি, এবং তারপর ২০২১ সালে সারোগেসির মাধ্যমে যমজ সন্তানের মা হন। কিন্তু নিজের মাতৃত্বের স্বাদ পাওয়ার বহু বছর আগেই, নিঃস্বার্থ ভালোবাসায় তিনি যে ৩৪ জন মেয়ের জীবনে আলো জ্বেলেছিলেন, সেই গল্প আজও অনেককে বিস্মিত করে।

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT

আইপিএলে পাঞ্জাব কিংসের (Punjab Kings) মালকিন হিসেবে প্রীতি জিন্টা বরাবরই দলের প্রতি তাঁর অদম্য ভালোবাসা এবং আবেগ প্রকাশ করে এসেছেন। এবারের ফাইনালে দল না জিতলেও, প্রীতির এই মানবিক দিকটি আবারও শিরোনামে এসেছে, যা প্রমাণ করে – খেলায় হার-জিত থাকবেই, কিন্তু মানবতার জয়ই আসল জয়। আর প্রীতি জিন্টা সেই জয়ী হৃদয়ের রাণী।