নিউজ পোল ব্যুরো:সন্দেশখালির ন্যাজাটে তিন হিন্দুকে পিটিয়ে খুনের ঘটনার বর্ষপূর্তিতে আবারও কঠোর হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari promise)!রবিবার সন্দেশখালির কানমারির ভারত সেবাশ্রম সংঘের মাঠে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি সেখানকার হিন্দুদের অস্তিত্ব রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দেন। একই সঙ্গে শুভেন্দু দাবি করেন, তৃণমূল কংগ্রেসকে রাজ্যের ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা না গেলে এখানকার হিন্দুদের ফের উদ্বাস্তু হতে হবে।
আরও পড়ুন:https://thenewspole.com/2025/06/08/manipur-violence-arambai-tenggol-arrest-protests-in-imphal/
এদিন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari promise) স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “নিশ্চিন্ত থাকুন, শাহজাহানের দাদাগিরি অতীত করেছি, অতীতই থাকবে। কাদের মোল্লা, তুমি যে গর্তেই লুকিয়ে থাকো না কেন, তোমাকে টেনে বার করে আইনের সাজা দেব।” শাহজাহান একসময় তাঁকে “ছাল চামড়া তুলে নেওয়ার” হুমকি দিয়েছিল উল্লেখ করে শুভেন্দু বলেন, “আমি তিন বার সরবেড়িয়ায় ওর বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে মিষ্টি খেয়েছি, খাইয়েছি।” এরপরই ন্যাজাট হত্যাকাণ্ডের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি দৃঢ় কণ্ঠে ঘোষণা করেন, “কানমারি হত্যার বদলা নেব, নেব, নেব। আমার হিন্দু ভাই-বোনেরা শুধু ভাগ হবেন না, হাত জোড় করে বলছি।”
শুভেন্দুবাবু তাঁর বক্তব্যে কাশ্মীরে ও এ রাজ্যের মুর্শিদাবাদে হিন্দুদের বেছে বেছে হত্যার ঘটনাও তুলে ধরেন। তিনি উল্লেখ করেন, কীভাবে পহেলগাঁওতে বিতান অধিকারী, সমীর গুহদের ধর্মপরিচয় নিশ্চিত করে খুন করা হয়েছিল। এমনকি মুর্শিদাবাদের জাফরাবাদে দাঙ্গায় মৃৎশিল্পী হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর ছেলের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। বলেন, বামপন্থী হলেও হিন্দু ধর্মাবলম্বী হওয়ায় হামলাকারীদের হাত থেকে তাঁরা নিষ্কৃতি পাননি।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দিয়ে শুভেন্দুবাবু উপস্থিত জনতাকে উদ্দেশ্য করে আহ্বান জানান, “আমরা কথা দিতে পারি, উত্তর প্রদেশ, অসম দেখছেন, আমাদের আনুন। আরও ভালো কিছু দেখতে পাবেন।” রাজ্যের মায়েদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “মায়েরা ৫০০-১০০০ টাকার জন্য শাঁখা পলা বিসর্জন দেবেন না। যেদিন বিজেপি ক্ষমতায় আসবে, পরের মাসে ৩ হাজার টাকা করে দেব।” তিনি স্মার্ট মিটার লাগানোর বিরুদ্ধেও কড়া বার্তা দেন। তাঁর কথায়, “স্মার্ট মিটার লাগাতে দেবেন না। বসিরহাটে বিক্ষোভ হচ্ছে। ওটা ঐচ্ছিক। এই ভিখারি সরকার মধ্যবিত্তের কাছ থেকে টাকা তুলতে চাইছে।”