নিউজ পোল ব্যুরো: “আমেরিকা (America) আগে!” এই পুরনো স্লোগানকে আবারও সামনে টেনে আনলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। তবে এবার যুদ্ধ বাইরের দেশের বিরুদ্ধে নয়, নিজের শহরের রাস্তায়! লস অ্যাঞ্জেলসের (Los Angeles Protest) বিক্ষোভ রুখতে ‘বিদেশি শত্রু’দের ভয় দেখিয়ে সেনা নামিয়ে বিতর্কের কেন্দ্রে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। প্রশ্ন উঠছে, এটা সুরক্ষা নাকি শাসন প্রতিষ্ঠার নামে চরমপন্থা?
লস অ্যাঞ্জেলেস (Los Angeles Protest) যেন এখন রণক্ষেত্র। টানা পাঁচদিন ধরে বিক্ষোভ, লুটপাট আর উত্তেজনায় ভাসছে শহর। পরিস্থিতি সামাল দিতে ট্রাম্প প্রশাসন (Trump administration) একের পর এক কড়া সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। সর্বশেষ, ৪০০০ ন্যাশনাল গার্ড (National Guard) ও মেরিন সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্তে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক মহল।ট্রাম্পের (Donald Trump) যুক্তি, “এই দিন দেখার জন্য আমাদের সেনারা বিদেশে রক্ত দেননি।” তার অভিযোগ, লস অ্যাঞ্জেলেসে (Los Angeles Protest) ‘বিদেশি শত্রুদের ইন্ধনে’ আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ছে। বিদেশি পতাকা হাতে বিক্ষোভকারীরা আমেরিকার সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জ করছে। তাই শহরকে সুরক্ষিত রাখতে সেনা নামানো জরুরি।
তবে ক্যালিফর্নিয়ার (California) গভর্নর গ্যাভিন নিউসাম ও অ্যাটর্নি জেনারেল রব বন্টা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কোনও আলোচনা ছাড়াই। তাদের দাবি, ট্রাম্প প্রশাসন (Trump Administration) রাজ্যের ওপর জোর খাটিয়ে সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে।শহরের স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কার্ফু জারি করা হয়েছে। বিক্ষোভ দমনে এত সেনা নামানোকে অনেকেই দেখছেন মতপ্রকাশের স্বাধীনতার উপর আক্রমণ হিসেবে। ট্রাম্প (Donald Trump) যদিও অনড়, “সেনারা শুধু বাসিন্দাদের নয়, গণতন্ত্রকেও রক্ষা করছে।”
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
