নিউজ পোল ব্যুরো:বাংলার রাজনীতিতে তাঁর যোগদান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চলেছে জল্পনা। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগেও একাধিকবার শোনা গিয়েছিল, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly political entry rumour) হতে পারেন বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই সম্ভাবনা বাস্তবে রূপ নেয়নি।
আরও পড়ুন:https://thenewspole.com/2025/06/22/ghatal-flood-crisis-masterplan-political-blame-game/
২০২৬-এর বিধানসভা ভোট যতই এগিয়ে আসছে, ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে সেই পুরনো জল্পনা। তবে এবারও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় একেবারে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন, তিনি রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার কোনো ইচ্ছেই রাখেন না।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে সৌরভকে (Sourav Ganguly political entry rumour) সোজাসুজি প্রশ্ন করা হয়— তিনি কি আসন্ন নির্বাচনের আগে কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে আগ্রহী? প্রশ্ন শুনেই স্বভাবসিদ্ধ হাসিতে সৌরভের সোজা জবাব, “আমার কোনো ইচ্ছে নেই।”
পরের প্রশ্নটি আরও সোজাসাপটা— তাঁকে যদি মুখ্যমন্ত্রীর পদও অফার করা হয়, তাহলেও কি তিনি রাজনীতিতে আসবেন? সৌরভ আবারও একইভাবে জবাব দেন, “আমার কোনো ইচ্ছে নেই।”
তাঁর এই পরিস্কার বক্তব্যে আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল, মাঠের বাইরের লড়াইয়ে নামতে এখনই রাজি নন ‘মহারাজ’।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে সৌরভের রাজনীতিতে যোগদানের সম্ভাবনা নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন তাঁর স্ত্রী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ও। তিনি বলেছিলেন—
“ও (সৌরভ) যে পিচেই খেলুক না কেন, তাতেই সেরা হয়। যদি রাজনীতিতে আসে, আশা করি হি উইল ফিনিশ অ্যাট দ্য টপ।”
সেই সময়ে জোর গুঞ্জন উঠেছিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড সভায় হাজির হয়ে সৌরভ বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। এমনকি বিজেপির তরফে তাঁকে প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল বলে শোনা যায়।
তবে সৌরভের ঘনিষ্ঠমহলের দাবি, তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাননি। বরং বিজেপির পক্ষে প্রচারে নামতে রাজি ছিলেন, যদি পরবর্তীতে তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠানো হয়। যদিও সেই প্রস্তাবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সাড়া দেয়নি।
অমিত শাহ নিজে একবার সৌরভের বাড়িতে নৈশভোজে গিয়েছিলেন। আবার অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও সৌরভের সম্পর্ক বরাবরই সুসম্পর্কপূর্ণ। মমতা একাধিকবার সৌরভের বাড়িতে গিয়েছেন এবং বাণিজ্য সম্মেলনে তাঁকে বিশেষ অতিথি হিসেবে দেখা গিয়েছে।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
সব মিলিয়ে, দুই রাজনৈতিক শিবিরের সঙ্গেই সৌরভের ব্যক্তিগত সম্পর্ক সৌহার্দ্যপূর্ণ হলেও, রাজনীতির মাঠে নামার ইচ্ছা নেই তাঁর। সৌরভের এই মন্তব্যের পর আপাতত তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে চলতে থাকা জল্পনার ইতি টানা যেতেই পারে।