নিউজ পোল ব্যুরো: রথযাত্রা (Rath Yatra 2025) মানেই ভক্তি, ভিড়, উল্লাস, উত্সব। এবছর ২৭ জুলাই রথের দিন। পুরীর জগন্নাথ ধামে (Puri Jagannath Dham) যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও, এখন টিকিট নেই, হোটেলের ভাড়া আকাশছোঁয়া, আর দিঘাতেও (Digha) একই দশা। কিন্তু আপনি কি জানেন, আপনার রাজ্য পশ্চিমবঙ্গেই রয়েছে এমন কিছু প্রাচীন ও খ্যাতনামা রথযাত্রা (Rath Yatra 2025), যেগুলির ঐতিহ্য, আবেগ ও আড়ম্বর কোনও অংশে কম নয়?
চলুন, চেনা পথ ছেড়ে ঘুরে আসা যাক বাংলার সেই বিখ্যাত রথক্ষেত্রে! যেখানে ইতিহাস, লোককথা আর ভক্তির মেলবন্ধন ঘটেছে শতাব্দীর পর শতাব্দী।
আরও পড়ুন: Murshidabad Mystery: মাটি ফুঁড়ে আবির্ভাব বজরংবলীর! নবগ্রামে অলৌকিক আবিষ্কারে চাঞ্চল্য
মায়াপুর (নদিয়া)– ইস্কনের (Iskcon) জগন্নাথ রথ এখানে বিশ্বজোড়া খ্যাতি পেয়েছে। রাজাপুর ও মায়াপুর গ্রামের মধ্যে রথের (Rath Yatra 2025) টান মানেই ভক্তির ঢেউ। পাঁচশো বছরের প্রথা মেনে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা মন্দির থেকে রথে চড়েন।
মাহেশ (হুগলি)– বাংলার ‘পুরী’ বলা হয় মাহেশকে। প্রায় ৬০০ বছরের পুরনো এই রথযাত্রার সূচনা ধ্রুবনন্দ ব্রহ্মচারীর হাতে। ভিড়, উৎসাহ, আর এক বিশেষ বিশ্বাস। রথের মাথায় নীলকণ্ঠ পাখির আগমন।
গুপ্তিপাড়া (হুগলি)– ১৭৪০ সালে শুরু হওয়া বৃন্দাবনজিউর রথ এখানে আজও প্রাচুর্য ও ঐতিহ্যে ভরপুর। চারতলা, ৩৬ ফুট উঁচু এই বিশাল কাঠের রথে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা মাসির বাড়ি যান মাসির বাড়ি।
আমোদপুর (বর্ধমান) – জমিদার বাড়ির দেবতা রাধামাধবকে নিয়ে রথযাত্রার এক রাজকীয় রূপ। এখানে রথের মাটি দিয়ে পরবর্তী দুর্গা প্রতিমা গড়া হয়, যা এক অভিনব প্রথা।
রাজবলহাট (হুগলি)– তাঁতের জন্য প্রসিদ্ধ হলেও রথের জন্যও খ্যাত। রাধাকৃষ্ণের এই রথযাত্রা স্থানীয় সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।
মহিষাদল (পূর্ব মেদিনীপুর)– ১৭৭৬ সালে জমিদারানী জানকীর হাত ধরে শুরু হওয়া রথযাত্রা আজও মহিষাদলের গর্ব।
কলকাতা ইস্কন (অ্যালবার্ট রোড)– আধুনিক শহরের প্রাণকেন্দ্রে ইস্কনের রথযাত্রা আজ আন্তর্জাতিক মাত্রায় পৌঁছেছে। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই অংশগ্রহণ করেন।
তাই এবার আর ট্রেন ধরার চিন্তা নয়। বাড়ির কাছেই রথের টান, ঐতিহ্য আর জগন্নাথ দর্শনের অপূর্ব সুযোগ। এই রথযাত্রায় চলুন, নতুনভাবে আবিষ্কার করি বাংলার আত্মা!
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT