প্রকাশিত ‘বিশেষ খাম’

জেলা রাজ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি, হুগলি: বহু ইতিহাসের সাক্ষী চন্দননগর কলেজ, যা ১৮৫২ সালে প্রতিষ্ঠিত, ভারতের অন্যতম শতাব্দী প্রাচীন এবং ঐতিহাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি, ভারতীয় ডাক বিভাগ এই কলেজকে সম্মান জানাতে একটি বিশেষ খাম প্রকাশ করেছে। এই উদ্যোগটি কলেজের ঐতিহ্য এবং দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসকে স্মরণ করানোর জন্য নেওয়া হয়েছে। চন্দননগর কলেজ, যার ‘হেরিটেজ বিল্ডিং’ও পশ্চিমবঙ্গ হেরিটেজ কমিশনের পক্ষ থেকে মান্যতা লাভ করেছে, শুধু শিক্ষার ক্ষেত্রে নয়, সংস্কৃতি এবং ইতিহাসের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এদিন সাড়ম্বরে প্রকাশিত হল শতাব্দী প্রাচীন চন্দননগর কলেজের ছবি সহ একটি বিশেষ খাম। কেন্দ্রীয় যোগাযোগ মন্ত্রকের অধীনস্থ ভারতীয় ডাকবিভাগ প্রাচীন এই কলেজকে সম্মান জানাতে এই উদ্যোগ গ্রহণ করে।

বৃহস্পতিবার ভারতীয় ডাক বিভাগের সহযোগিতায় কলেজের হেরিটেজ বিল্ডিংয়ের অডিটোরিয়াম হলে চন্দননগর কলেজের তরফে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্পেশাল খামের উদ্বোধন করেন চন্দননগরের মহানাগরিক রাম চক্রবর্তী, ডেপুটি মেয়র মুন্না আগরওয়াল, দক্ষিণবঙ্গের ডাক বিভাগের অধিকর্তা ঋজু গাঙ্গুলী এবং হুগলি জেলা ডাক বিভাগের অধীক্ষক দেবরাজ শেঠি, চন্দননগর কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশীষ সরকার। এই কলেজটি স্বাধীনতা সংগ্রামের দীর্ঘ ইতিহাসের সাক্ষী বহন করে। বিখ্যাত এই বিপ্লবীদের নানান স্মৃতিচিহ্নে সমৃদ্ধ ‘চন্দননগর কলেজ জাদুঘর’ও কয়েকদিন ধরে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। পঠন-পাঠন সহ সার্বিক মূল্যায়নের ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক সময়ে সর্বভারতীয় স্তরে চন্দননগর কলেজের সুনাম অক্ষুণ্ন রয়েছে। ন্যাকের মূল্যায়নে এই কলেজটি গ্রেড এ অর্জন করেছে।

চন্দননগরের উপমহানগরিক মুন্না আগরওয়াল বলেন, চন্দননগর শহরের বিভিন্ন জায়গায় অনেক ইতিহাস লুকিয়ে আছে। আমরা নিজের শহরের থেকে অন্য শহরের প্রতি বেশি আকর্ষণ হই, নিজের শহর ছেড়ে ইতিহাস জানতে আমরা অন্যত্র ঘুরে বেড়াই। অথচ এখানেই জানার অনেক কিছু রয়েছে। চন্দননগর নামটি বিশ্বজুড়ে ইতিহাসের জন্য বিখ্যাত। কলকাতার সীমান্তবর্তী অনেক এলাকার মানুষ বিদেশে গিয়ে কলকাতার পরিচয় দেন। একমাত্র চন্দননগরের বাসিন্দারাই নিজেদের চন্দননগরের বাসিন্দা বলে পরিচয় দেন। কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশীষ সরকার ভারতীয় ডাক বিভাগের প্রশংসা করেন। বলেন ভারতীয় ডাক বিভাগ কে অসংখ্য ধন্যবাদ। কারণ তাঁর ডিজাইন করা খাম ডাকবিভাগ গ্রহণ করেছে।