নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা : ২০১৬ সালে SLST র নবম থেকে দ্বাদশ যোগ্য চাকরি প্রাপক শিক্ষক-শিক্ষিকারা আজ শুক্রবার আচার্য সাধন অভিযানের ডাক দেয়। ২০১৬ সালে SLST পরীক্ষা হয় , ২০১৯ সালে তাঁরা চাকরিও পান। এরপর চাকরি বিক্রির অভিযোগে আদালতে মামলা হয় এবং তারপরেই পুরো প্যানেলটি বাতিল করে দেয় আদালত। সেখানেই শিক্ষক শিক্ষিকাদের একাংশ দাবি করেন যে তাঁরা পরীক্ষা দিয়ে যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছে। সে ক্ষেত্রে সরকার পক্ষ ভালো আইনজীবী নিযুক্ত করুক। স্বচ্ছ-অস্বচ্ছ তালিকা তৈরি করে আদালতে পেশ করুক।
উল্লেখ্য,পুরো প্যানেল যাতে বাতিল না হয় তার জন্য তাঁরা আবেদন জানান। তাঁদের দাবি, অযোগ্যদেরকে আলাদা করে যোগ্যদের চাকরি ফিরিয়ে দিক। এই দাবি নিয়ে আজ শুক্রবার তাঁরা আচার্য সদন অভিযান চালাবে। সেই উপলক্ষ্যে সল্টলেক করুণাময়ীতে জমায়েত হতে শুরু করেছে আন্দোলনকারী শিক্ষক শিক্ষিকারা। এর আগে তাঁরা নবান্ন ও এসএসসি ভবনে স্মারকলিপি জমা দেয়। সরকারের বিরুদ্ধে তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ মিছিল গড়ে তোলেন। কিছুদিন আগেই চাকরিপ্রাথীরা ধর্মতলার ধর্নামঞ্চে নিজেদের মাথা কামিয়ে প্রতিবাদ করেন।
প্রসঙ্গত, গত বছর ২২ এপ্রিল নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে চাকরি পাওয়া ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের প্যানেল বাতিল করে দেয় কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ। এরপর ৮ মে সেই রায়ে স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ১৯ ডিসেম্বর শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, রাজ্য সরকার কি মনে করে বৈধ-অবৈধ চাকরি প্রাপকদের আলাদা করা সম্ভব? SLST শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আশঙ্কা, এসএসসি যথাযথ তথ্য প্রমান না দিলে প্যানেল বাতিল হতে পারে। তাই যোগ্য ও অযোগ্যদের আলাদা করতে, যাতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়, সেই দাবি তুলে পথে নেমেছেন তাঁরা।