সন্দেশখালী গণ ধর্ষণ, সিট গঠনের পরামর্শ বিচারপতির

কলকাতা রাজ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সন্দেশখালী গণ ধর্ষণ মামলা সিট গঠনের পরামর্শ বিচারপতির। একজন সিনিয়র আইপিএস আধিকারিক নিযুক্ত করা হোক বা সিট গঠন করা হোক বা একজন মহিলা আইপিএসকে পুরো ঘটনার তদন্ত করানো হোক।পরামর্শ বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের

আবেদনকারীর আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় : এধরনের সম্মিলিত ক্রাইমের ঘটনায় এখানে গণ ধর্ষনের ঘটনায় পুলিশ ঠিক করে তদন্ত করছে না।
বিচারপতি: মেটোরিয়াল কালেক্টেড।
অভিযোগকারী এসেছেন?
সব্যসাচী: ওনার পক্ষে রোজ আসা সম্ভব নয়। ওনার বাড়ি সন্দেশখালি। ওনার স্বামী একজন সিভিক ভলান্টিয়ার। যাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
অভিযোগকারী জানিয়েছিলেন এফ আই আর এ যে একের বেশি অভিযুক্ত ছিলেন। একজন দিলীপ মল্লিক এবং একজন সৈকত দাস।

রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত: প্রথমে এফ আই আর এ তিনি বলেছিলেন তিনজন কারা ছিলেন দেখতে পাননি। তাদেরকে ফোনে বলতে শোনেন দিলীপ এবং সৈকতকে ফোন কর। সুতরাং দিলীপ এবং সৈকত সেখানে উপস্থিত ছিলেন। শুভ এবং বাবু ঘটনাস্থল থেকে 2 কিলোমিটার দূরে ছিলেন। আরেকজন শ্যামবাজার এ ছিলেন সেইসময়।

বিচারপতি: আপনারা কি করে জানলেন?

কিশোর দত্ত: তাঁদের মোবাইল লোকেশন দেখে।

বিচারপতি: তাঁরা তো ফোন অন্য কোথাও রেখেও যেতে পারেন।

সব্যসাচী: রাজ্য কেন তদন্ত করার বদলে বারবার এটা প্রমাণ করার চেষ্টা করছে যে অভিযুক্তরা সেই সময় ঘটনাস্থলে ছিল না?

বিচারপতি: সিরিয়াসনেস নেই।
রাজ্য: আমাকে সময় দেওয়া হোক আমি নিজে এস পির সঙ্গে কথা বলে এই বিষয়ে তদন্ত করতে বলব।
বিচারপতির পর্যবেক্ষণ: একজন সিনিয়র আইপিএস আধিকারিক নিযুক্ত করা হোক বা সিট গঠন করা হোক বা একজন মহিলা আইপিএসকে পুরো ঘটনার তদন্ত করানো হোক।

পরবর্তী শুনানি বুধবার দুপুর সাড়ে তিনটায়।