নিজস্ব প্রতিনিধি,কলকাতাঃ- কারুর কাছে দশ হাজার, আবার কারুর কাছে পনেরো হাজার টাকা চেয়েছেন পঞ্চায়েত সদস্যা, এমনকি কাটমানির টাকা না দিলে পরবর্তী কিস্তির টাকা ঢুকবে না বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি উপভোক্তাদের বোঝাচ্ছেন সেই কাটমানির টাকা দিতে হবে ব্লকের লোককে। আবাস যোজনা প্রকল্পের প্রথম কিস্তির টাকা ঢুকতেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর বিরুদ্ধে।
মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর এক নম্বর ব্লকের বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের গহিলা গ্রামে এমনই ঘটনা ঘটে গিয়েছে। কংগ্রেস পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতে দুর্নীতির এই অভিযোগ আসতেই আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল এবং বিজেপি উভয়েই। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। অভিযোগ উঠেছে, ওই বুথের কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যা নিরুপমা দাসের(রায়) স্বামী সুপেন রায়ের বিরুদ্ধে। এলাকায় বহু উপভোক্তার অভিযোগ, প্রথম কিস্তির টাকা ঢুকতেই কারুর কাছে তিনি ১০ হাজার টাকা, কারুর কাছে ১৫ হাজার টাকা কাটমানি চাইছেন।
সেই কথা স্বীকারও করেছেন সুপেনবাবু। অন্যদিকে, স্বামীর কীর্তি মানতে নারাজ স্ত্রী তথা পঞ্চায়েত সদস্যা নিরুপমা দেবী। স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রশ্ন, এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকার মধ্যে যদি কাটমানি দিতে হয় তাহলে তাঁরা বাড়ি তৈরী করবেন কীভাবে? অভিযোগ, ডুমরি রায় নামে এলাকার এক বৃদ্ধার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকতেই টিপছাপ দিয়ে টাকা তুলে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। যদিও পরবর্তীতে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা দেখে সেই স্লিপ ফেরত দিয়ে দেন অভিযুক্ত এমনটাই খবর সূত্রের। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছুই পদক্ষেপ করা হয়নি বলে সূত্রের খবর।