মাঘ মাসেও শীতের আকাল, সামান্য পারদ পতনের পূর্বাভাস

আবহাওয়া কলকাতা জেলা রাজ্য শহর

নিজস্ব প্রতিনিধি: চলতি মরশুমে স্বাভাবিক শীতের আমেজ তেমনভাবে দেখা যায়নি, আর সম্ভবত এবার আর তার দেখা মিলবেও না। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে শীতের দাপট কমে গিয়েছে। মাঘ মাসের মাঝামাঝি সময়েও গরমের অনুভূতি থেকেই যাচ্ছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সামনের কয়েকদিনে তাপমাত্রা সামান্য কমলেও তা ১৭-১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করবে।

আবহাওয়া দফতরের অনুমান, চলতি ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই শীত পুরোপুরি বিদায় নিতে পারে। তবে তার আগে আরও একবার সামান্য পারদ পতন হতে পারে। বিশেষত দক্ষিণবঙ্গে পারদ ৩-৪ ডিগ্রি কমতে পারে। কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, এরপর আবার তাপমাত্রা বাড়বে। আগামী দু’দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ফের ২-৩ ডিগ্রি বৃদ্ধি পেতে পারে। ফলে, এই মরশুমে কলকাতা বা দক্ষিণবঙ্গে ১৫ ডিগ্রির নিচে পারদ নামার সম্ভাবনা নেই বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। আগামী কয়েকদিন দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকবে। বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে, ভোরের দিকে কুয়াশার দাপট থাকতে পারে এবং সারাদিন আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। বেশ কয়েকটি জেলায় কুয়াশার জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ জেলায় হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার কুয়াশা দেখা যেতে পারে।

উত্তরবঙ্গেও আপাতত উল্লেখযোগ্য হারে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই। আগামী পাঁচদিনের মধ্যে খুব বড় পারদ পতনের ইঙ্গিত মেলেনি। দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই, তবে কুয়াশার সতর্কতা জারি করা হয়েছে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদা জেলায়।

সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৮ ডিগ্রি বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ০.২ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে সর্বোচ্চ আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৫ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৪৭ শতাংশ। বুধবার কলকাতা এবং আশপাশের এলাকায় আকাশ ভোরের দিকে কুয়াশাচ্ছন্ন থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার হবে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকবে। চলতি শীত মৌসুম কার্যত শেষের পথে। আর প্রবল ঠান্ডার আশা নেই। আগামী কয়েকদিন সামান্য পারদ পতন হতে পারে, তবে সেটাও দীর্ঘস্থায়ী হবে না। ফলে, যাঁরা শীতের আমেজ উপভোগ করতে চান, তাঁদের জন্য এবার শীতের বিদায়ঘণ্টা বেজে গিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে!