নিউজ পোল স্পোর্টস ব্যুরো : ক্রিকেট মানেই আবেগ, উত্তেজনা আর দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা। এরমধ্যে যখন কথা ওঠে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো বড়ো মাপের টুর্নামেন্টের, তখন সেই উত্তেজনা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। ২০২৫ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অনুষ্ঠিত হবে, আর সেই চ্যাম্পিয়ন ট্রফির জন্য প্রকাশিত হয়েছে অফিসিয়াল থিম সং, যেখানে কণ্ঠ দিয়েছেন জনপ্রিয় পাকিস্তানি গায়ক আতিফ আসলাম। গানটির নাম ‘জিতো বাজি খেল কে’, যা এরমধ্যেই ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে আলোড়ন তুলেছে।
আতিফ আসলাম পাকিস্তানের পাশাপাশি ভারতেও সমানভাবে জনপ্রিয়। তিনি বলিউডে অসংখ্য গান গেয়েছেন। আতিফ আসলাম বরাবরই তাঁর সুরেলা কণ্ঠ আর আবেগঘন গায়কির জন্য বিখ্যাত। ‘জিতো বাজি খেল কে’ গানেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। গানটির সুরে রয়েছে এক অনন্য প্রাণচাঞ্চল্য, যা ক্রিকেটীয় উন্মাদনাকে আরও উঁচুতে নিয়ে যেতে সক্ষম। গানের কথাগুলো ক্রিকেটের প্রতিদ্বন্দ্বিতা, জয়ের নেশা এবং খেলোয়াড়দের সাহসিকতার গল্প বলে। গানটি প্রকাশের পর থেকেই সোশাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে আলোচনা। আতিফের ভক্তরা গানটির প্রশংসায় পঞ্চমুখ, অনেকেই বলছেন এটি একটি পারফেক্ট থিম সং, যা মাঠের উত্তাপ আরও বাড়িয়ে দেবে। অন্যদিকে, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আবহে গানটির আলাদা মাত্রা যোগ হয়েছে।
আতিফ আসলাম শুধু একজন গায়ক নন, তিনি নিজেও একজন ক্রিকেটপ্রেমী। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ সবসময়ই বিশেষ আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। আতিফ নিজেও এই মহারণের জন্য অপেক্ষা করছেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘ভারত-পাক ম্যাচ মানেই দারুণ এক আবেগের মুহূর্ত। দু’দেশের দর্শকের জন্য এটি শুধুই একটি খেলা নয়, এটি এক অনুভূতি। আমি নিজেও সেই উত্তেজনার অংশ হতে চাই, এই গানটির মাধ্যমে সবাইকে অনুপ্রাণিত করতে চাই।’
যদিও গানটি ইতিবাচক সাড়া পেয়েছে, কিছু ক্রিকেটপ্রেমী বলছেন, অতীতের আইসিসি থিম সং গুলোর মতো এটি খুব বেশি অনুপ্রেরণাদায়ক নয়। কেউ কেউ মনে করছেন, গানের সুর আর কথায় আরও বেশি আগ্রাসন থাকলে ভালো হতো। তবে একদিকে যেখানে পাকিস্তানের ভক্তরা গর্বিত, অন্যদিকে কিছু ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমী এই গায়ক নির্বাচনের বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। আইসিসি প্রতিটি বড়ো বড়ো টুর্নামেন্টের জন্য বিশেষ থিম সং তৈরি করে, যা বিশ্বব্যাপী ক্রিকেটপ্রেমীদের উন্মাদনাকে দ্বিগুণ করে তোলে। ‘জিতো বাজি খেল কে’ গানটি সেই উদ্দেশ্য সফল করতে পারবে কি না, তা সময়ই বলে দেবে। তবে এখন পর্যন্ত এটিই স্পষ্ট, আতিফ আসলামের কণ্ঠ ক্রিকেট বিশ্বে এক নতুন প্রাণসঞ্চার করেছে। এখন দেখার অপেক্ষা, ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচের দিন স্টেডিয়ামজুড়ে কীভাবে বেজে উঠবে এই গান, আর ক্রিকেটপ্রেমীরা কতটা উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠবে এই সুরের জাদুতে!