Coochbehar: নতুনরূপে কোচবিহারের রাজবাড়ি

জেলা দেশ রাজ্য

নিউজ পোল ব্যুরোঃ এবার সম্পূর্ণ নতুনরূপে কোচবিহার (Coochbehar) রাজবাড়ি। নতুন করে সাজিয়ে তোলা হবে ঝুলন্ত সেতু। খেলাধুলোর জন্য আধুনিক সরঞ্জাম বসবে মাঠে,থাকছে বসার ব্যবস্থাও। একসঙ্গে প্রিয়জনদের নিয়ে আনন্দ উপভোগের নানা সুযোগ। জলাশয়ের পাশে বসে প্রিয়জনদের সঙ্গে স্মৃতিময় সময় কাটানোর জন্য নতুন করে সাজানো হবে কোচবিহার (Coochbehar) রাজবাড়ির উদ্যান, যা সত্যিই এক নতুন অভিজ্ঞতা দেবে।

নিউজ পোল ইউটিউব লিংক:  https://youtu.be/uVvk1b9UKnk

একসময় কোচবিহারের রাজবাড়ির উদ্যান ছিল দর্শনার্থীদের প্রিয় স্থান, যেখানে প্রকৃতির অপূর্ব রূপে সজ্জিত ছিল। ২০০০ সালে রাজ্যের প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য্য এই রাজবাড়ির উদ্বোধন করেছিলেন। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই উদ্যানের সৌন্দর্য হারিয়ে গেছে। ঝুলন্ত সেতুগুলি ভেঙে গিয়েছে, খেলার মাঠে নেই কোনো জীবন আর বোটিংয়ের আনন্দও এখন অতীত। তবে আশা হারানোর কিছু নেই। নতুন পরিকল্পনায় রাজবাড়ির উদ্যানকে আবার তাঁর প্রাচীন মহিমায় ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আধুনিক সুবিধা, রঙিন মাছের সজ্জা এবং নতুন সাজে এই উদ্যান পর্যটকদের জন্য আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে। উদ্যানটি নতুনভাবে সাজানোর পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়েছে। জেলা প্রশাসন, বন দফতর এবং পর্যটন দফতরের সহায়তায় উদ্যানকে পুরোনো রূপে ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু হতে চলেছে। এরইমধ্যে এক কোটি টাকার সহায়তা পেয়েছে উদ্যানটি।

আরও পড়ুন:https://thenewspole.com/2025/03/17/koel-mallick-nispal-singh-rane-love-story-tollywood-inspiration/

গত ১০-১২ বছর ধরে পার্কের অবস্থা খারাপ হতে থাকলেও এখন নতুন উদ্যোগের ফলে চেহারা সম্পূর্ণ বদলে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। একসময় রাজবাড়িতে হাজার হাজার মানুষ আসতেন, আজ সেখানে এসে দর্শনার্থীর সংখ্যা ৩০০-৪০০ তে নেমেছে। এদিকে, উদ্যানে কর্মরত ২৫ জন কর্মীও দীর্ঘদিন ধরে অল্প বেতনে কাজ করছেন, তাঁদের বেতন আর বাড়েনি ১০ বছর ধরে। তাঁরা আশাবাদী উদ্যানের উন্নতি হলে, তাঁদের জীবনমানও উন্নত হবে। তাঁদের এই স্বপ্ন এখন এক বাস্তব রূপ নিতে চলেছে, যখন উদ্যানের নতুন যুগের সূচনা হবে।

প্রাসাদের একতলায় বিলিয়ার্ড রুম, গ্রন্থাগার, অতিথিশালা, ভোজনকক্ষসহ ২৪টি কক্ষ। দ্বিতলে ১৫টি শয়নকক্ষ, ৩টি বৈঠকখানা, ৪টি তোশাখানা, ১১টি স্নানঘরসহ মোট ৪০টি কক্ষ রয়েছে। দক্ষিণ দিকের ঘরগুলিতে রাজা-রানি থাকতেন। দ্বিতলে নাচঘরও ছিল বলে জানা যায়। এই প্রাসাদে প্রকাশ্য সিঁড়ি ছাড়াও একাধিক গোল সিঁড়ি রয়েছে। সিঁড়িগুলি কোনওটি কাঠের, কোনওটি লোহার। বেশ কিছু সিঁড়ি গম্বুজের মধ্যে উঠে গিয়েছে। প্রাসাদের পিছন দিকে ছিল পাকশালা।