নিউজ পোল ব্যুরো: শীতের শেষ ইনিংসে চমক বাঁকুড়ার (Bankura) খাদি মেলায় (Khadi fair)। মনে আছে আপনাদের সেই ঝালকাঠির ঐতিহ্যবাহী শীতলপাটির (Sitalpati) কথা? হ্যাঁ সেই শীতলপার্টির ঐতিহ্যই এবার রাঙা মাটির দেশ বাঁকুড়ার খাদি মেলায়। মেলায় আট দিনে বিক্রি হয়েছে এক লাখেরও বেশি শীতলপাটি। এক সময় গ্রামের বাড়িতে কোনো অতিথি এলে তাদেরকে শীতলপাটিতে বসিয়ে জলমিষ্টি পরিবেশন করা হত। তবে বর্তমানে আধুনিক প্লাস্টিক (Plastic furniture) এবং কাঠের ফার্নিচারের (Wooden furniture) যুগে শীতলপাটির বাজারে সঙ্কট দেখা দিয়েছে। গ্রীষ্মে এসি (Air conditioners) এবং কুলারের (Coolers) উপস্থিতির কারণে এখন আর এই পাটি ব্যবহৃত হয় না। তবে, শীতলপাটির সঙ্গে বিভিন্ন সামগ্রী যেমন ব্যাগ,জুতো,টুপি তৈরি করে শিল্পীরা পুনরায় জনপ্রিয়তা আনার চেষ্টা করছেন।
প্লাস্টিক চেয়ার (Plastic Chair) এবং সোফার (Sofas) বদলে শীতলপাটির ব্যবহার এখন প্রায় লুপ্ত। তারপরেও, গরমের সময়ে শীতলপাটির চাহিদা ফের বৃদ্ধি পায়। বর্তমান সময়ে শীতলপাটির উপকরণেও পরিবর্তন এসেছে এবং এখন এর সঙ্গে তৈরি হচ্ছে নানা নতুন ধরণের উপকরণ যেমন- ব্যাগ,ফাইল,জুতো,টুপি ইত্যাদি। এই পরিবর্তনশীল উপকরণ দিয়ে শীতলপাটি শিল্পটি পুনরুজ্জীবিত হতে চায়।
মেলাটি শুরু হয়েছে ফেব্রুয়ারির ৪ তারিখ থেকে। বাঁকুড়া শহরের জেলা পরিষদের অডিটোরিয়াম সংলগ্ন মাঠে শুরু হওয়া খাদি মেলায় ঝালকাঠির শীতলপাটি এখন বেশ জনপ্রিয়। শীতলপাটির এই সম্ভার নিয়ে কোচবিহার থেকে এই মেলায় এসেছেন শিল্পী সুনীল দে। তিনি জানান, এ বছর মেলায় শীতলপাটি বিক্রি চাহিদা অনেক। এক একটা মাদুরের দাম ৭৫০-৮০০ টাকা। ডাবল মজুরের দাম ১৮০০-টো০০ টাকা, ব্যাগের দাম ১৫০-৭০০ টাকা। প্রতিদিনই প্রায় ১০-১৫ হাজার টাকার শীতলপাটি বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া,মেলায় শুধু শীতলপাটি (Sitalpati) নয়, বিভিন্ন ধরণের শাড়ি,সালোয়ার কামিজ, কুর্তি এবং হাতে তৈরি অলঙ্কারও বিক্রি হচ্ছে। তবে সোনা রুপার দাম আকাশ ছোঁয়া হলেও কৃত্তিম অলংকার (Artificial jewellery) গুলো সাধারণ মানুষের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।