নিউজ পোল ব্যুরো: শহরে একের পর দেহ উদ্ধার ঘিরে ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বেহালার শকুন্তলা পার্কের পর এবার ট্যাংরা কাণ্ডের ছায়া মধ্যমগ্রাম দোহারিয়া শৈলেশ নগরে। ভাড়া বাড়ি থেকে উদ্ধার মা ও মেয়ের মৃতদেহ(Dead body Recovered) । ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সাত বছরের দাম্পত্য জীবন মধুমিতার। মধ্যমগ্রাম দোহারিয়া শৈলেশ নগর দূর্গা মন্ডপের ভাড়া বাড়িতে থাকতেন মা ও মেয়ে। মধুমিতার স্বামী পিচ-বোর্ড কারখানাতে কাজ করেন। গতকাল বিকেলে ওভারটাইমের সময় দুবার ফোনও করেন মধুমিতা কে, কিন্তু ফোন না তোলায় পাশেই মুদিখানার দোকানে ফোন করে খোঁজ নেন তার স্বামী। তখনই অন্যান্য ভাড়াটিয়া সহ প্রতিবেশীরা ঘরে গিয়ে দেখে মা ও মেয়ে দেহ ঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছে। কোনও রকম কোনও ঝগড়া-বিবাদও ছিল না পরিবারে সঙ্গে। তবে শুক্রবার বিকেলে কি থেকে কি হয়ে গেল তা বুঝতেই পারছেন না পরিবারের লোকজন। মা ও মেয়েকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী একটি বেসরকারি হাসপাতালে(ROMALINDA )নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই ডাক্তার তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করে । পরবর্তীতে মধ্যমগ্রাম মাতৃ সদনে নিয়ে যাওয়া হয় মা এবং পাঁচ বছরের মেয়ে প্রশংসার মৃতদেহ। আত্মীয়রা সহ তাঁর স্বামী বুঝে উঠতে পারছেন না কি কারণে এই রহস্য মৃত্যু। পুলিশ এই নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
আরও পড়ুনঃ https://thenewspole.com/2025/03/01/mysterious-deaths-behala-shakuntala-park/
অন্যদিকে শুক্রবার সন্ধ্যায় বেহালার শকুন্তলা পার্কে একটি অফিস ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে এক ব্যবসায়ী ও তাঁর মেয়ের ঝুলন্ত দেহ(Dead body Recovered) । এই ঘটনায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবার ও তদন্তকারীরা এখনও নিশ্চিত নন, এটি আত্মহত্যা (Suicide) নাকি পরিকল্পিত খুন (Murder)। মৃত ব্যক্তির নাম স্বজন দাস, বয়স ৫৩ বছর। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী (Businessman) এবং চিমনি ও ওয়াটার পিউরিফায়ারের (Water Purifier) দোকান চালাতেন। তাঁর বাড়ি মহেশতলার (Maheshtala) নুঙ্গিতে। পরিবারের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই তিনি মানসিক চাপ (Mental Stress) ও ডিপ্রেশনে (Depression) ভুগছিলেন। একইসঙ্গে তাঁর ২২ বছর বয়সী মেয়েও শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। শুক্রবার দুপুর ১টা নাগাদ মেয়েকে ডাক্তার দেখানোর নাম করে বাড়ি থেকে বের হন স্বজন দাস। কিন্তু দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও বাড়ি না ফেরায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তাঁর স্ত্রী। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামলেও তাঁদের কোনও খোঁজ মেলেনি। এরপর সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ শকুন্তলা পার্কে (Shakuntala Park) স্বজন দাসের অফিস ঘর থেকে উদ্ধার হয় বাবা-মেয়ের ঝুলন্ত দেহ।
নিউজ পোল ফেসবুক পেজের লিংক: https://www.facebook.com/share/1EA79Afcw5/