নিউজ পোল ব্যুরো: ভূত আছে কি না তা এখনও প্রমাণিত নয়। তবে ভুতুড়ে ভোটার যে আছে তা ভোট এলেই টের পাওয়া যায়। এই ভুতুড়ে ভোটার নিয়ে সরব হয়েছেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে দলীয় কর্মীদের রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ভুতুড়ে ভোটারদের চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই নির্দেশ মাথায় রেখে এবার পথে নামলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) এবং সুজিত বসু (Sujit Bose)।
আরও পড়ুনঃ Panagarh Accident: ইভটিজিংয়ের তত্ত্ব খারিজ, তবু কেন পালালেন বাবলু?
ফিরহাদ ভোটার তালিকা নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্কুটিনি চালালেন। অন্যদিকে সুজিত বসুর (Sujit Bose) নেতৃত্বে বিধাননগরে বসল একটি জরুরী কর্মীসভা। যেখানে বিধাননগর পৌর নিগমের অন্তর্গত ১০টি ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের পৌর প্রতিনিধি এবং দক্ষিণ দমদম পুরসভার দশটি ওয়ার্ডের পৌর প্রতিনিধি ছাড়াও উপস্থিত হয়েছিলেন বিধাননগর বিধানসভা কেন্দ্রের সকল বুথ কর্মীরা। আগামী ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে তাদের ভোটার তালিকা সংক্রান্ত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ভুতুড়ে ভোটার সংক্রান্ত বিষয়টি যে মোটেই ভাল চোখে দেখছেন না তা বৃহস্পতিবার তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্মেলনেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নেতাজি ইনডোরের মঞ্চ থেকে তিনি ভুতুড়ে ভোটারদের খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন দলীয় কর্মীদের। তৃণমূল সুপ্রিমোর দেওয়া সেই নির্দেশ অনুযায়ী কর্মীদের দ্রুত ভোটার লিস্ট পর্যালোচনা করে ভুতুড়ে ভোটারদের চিহ্নিত করা নির্দেশ দিলেন সুজিত বসু (Sujit Bose)। এই কর্মী সভায় উপস্থিত ছিলেন বিধান নগর পৌর নিগমের কৃষ্ণা চক্রবর্তী, ডেপুটি মেয়র অনিতা মন্ডলসহ বিধান নগর পৌর নিগম এবং দক্ষিণ দমদম পৌরসভার বিভিন্ন কাউন্সিলর ও কর্মীরা।
নিউজ পোল ফেসবুক পেজের লিংক: https://www.facebook.com/share/1EA79Afcw5/
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুজিত বসু জানান, “মুখ্যমন্ত্রী ভোটার তালিকায় যে ভুতুড়ে ভোটারের কথা বলেছেন সেটা সত্যি। হয়ত দেখা যাচ্ছে, এপিক নম্বর আছে। কিন্তু সেই এপিক নম্বরে অন্য কারো নাম। এটা দিল্লি এবং মুম্বইয়ে হয়েছিল।” এরই সঙ্গে যোগ করেন, “এটা আমাদের দেখা দরকার। কারণ ২০২৬ এ বিধানসভা নির্বাচন। আর বিজেপি ভাল করে জানে বাংলায় ভোট হলে বারবার ওদের পরাজয় হচ্ছে। কারণ বাংলার মানুষ ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী।” অন্যদিকে বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তীর কথায়, “যেটা দলের সর্বোচ্চ নেত্রী জনসমক্ষে বলেছেন সেটার ওপর তো আর কোনো কথা চলে না। আমরা কর্মী। আমাদের প্রথম কাজই হল ভোটার তালিকা ঠিক করা। প্রতিটি জেলাতেই সেই কাজ হচ্ছে।”