নিউজ পোল ব্যুরো: আমাদের দেশে নানা রকমের কলার (Banana) প্রজাতি পাওয়া যায়, তার মধ্যে একটি বেশ জনপ্রিয় হলো সিঙ্গাপুরি কলা (Singapuri Kola)। নাম শুনে মনে হতে পারে, এটি বোধহয় সিঙ্গাপুরের (Singapore) কোনো বিখ্যাত ফল। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো—এর উৎপত্তির সঙ্গে সিঙ্গাপুরের কোনো সম্পর্কই(Singapuri Banana Origin) নেই! তাহলে কেন এটির নাম সিঙ্গাপুরি কলা রাখা হলো? এর পিছনে আছে বেশ আকর্ষণীয় এক ইতিহাস।সিঙ্গাপুরি কলা দেখতে ছোট, মোটা ও শক্ত খোসাযুক্ত। সাধারণত এটি হালকা হলুদ (Light Yellow) কিংবা সামান্য সবুজাভ (Greenish) রঙের হয়ে থাকে। স্বাদেও এটি বেশ ভিন্ন—মিষ্টি হলেও হালকা টক ভাব (Slightly Sour) অনুভূত হয়। খোসা ছাড়ানোর পর ভেতরের অংশ কিছুটা শক্ত মনে হলেও মুখে দিলেই যেন গলে যায়। ভারতে (India) এটি খুবই জনপ্রিয়, বিশেষ করে নাস্তার (Breakfast) সময় বা খাবারের পর মিষ্টি কিছু খেতে চাইলে অনেকেই এই কলা খেয়ে থাকেন। বাংলাদেশের (Bangladesh) শহর ও গ্রামাঞ্চলেও এটি সহজলভ্য এবং শিশুদের জন্য আদর্শ ফল হিসেবে বিবেচিত হয়, কারণ এটি সহজে খাওয়া যায় ও হজম হয় দ্রুত।
আরও পড়ুন:- Free Cancer Vaccine: ক্যান্সারের টিকা দান নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এটি আদতে সিঙ্গাপুরের ফল নয়, বরং থাইল্যান্ড (Thailand), মালয়েশিয়া (Malaysia) ও ইন্দোনেশিয়া (Indonesia)-সহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে প্রচলিত ছিল। ধারণা করা হয়, ব্রিটিশ আমলে বা তারও আগে এই কলাটি ভারত ও বাংলাদেশে আসে মিয়ানমার (Myanmar) বা অন্য কোনো দেশের মাধ্যমে। তাহলে নাম “সিঙ্গাপুরি” কেন? এর দুটি সম্ভাব্য ব্যাখ্যা রয়েছে— একসময় সিঙ্গাপুর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র (Trade Hub) ছিল। বিভিন্ন দেশ থেকে ফল ও কৃষিপণ্য (Agricultural Products) সেখানে এসে ছড়িয়ে পড়ত। সম্ভবত, বাংলাদেশ(Bangladesh) বা ভারতের(India) ব্যবসায়ীরা এই কলাটিকে সিঙ্গাপুর থেকে আসা মনে করে “সিঙ্গাপুরি কলা” নামে প্রচার করেন। আরেকটি ধারণা হল, ব্যবসায়ীরা (Merchants) এই নামটি বেছে নিয়েছিলেন কারণ “সিঙ্গাপুরি” নামটি আকর্ষণীয়(Singapuri Banana Origin) ও বিদেশি (Exotic) শোনায়। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আগ্রহ বাড়ে এবং সহজেই বাজারে জনপ্রিয়তা পায়।

নিউজ পোল বাংলা ফেসবুক পেজের লিঙ্ক:- https://www.facebook.com/share/164mWXbsyp/
অনেকে মনে করেন, সাধারণ কলার তুলনায় সিঙ্গাপুরি কলা বেশি পুষ্টিকর (More Nutritious) ও এনার্জি-সমৃদ্ধ (Energy-Rich)। খেলোয়াড় (Athletes) বা যারা শারীরিক পরিশ্রম (Physical Labor) বেশি করেন, তাদের জন্য এটি আদর্শ, কারণ এটি দ্রুত শক্তি যোগায়।এই কলার মধ্যে রয়েছে— কার্বোহাইড্রেট (Carbohydrates) – যা দ্রুত শক্তি দেয়। ফাইবার (Fiber) – যা হজমে সহায়তা করে। ভিটামিন বি৬ (Vitamin B6) – যা স্নায়ুতন্ত্রের জন্য উপকারী।পটাশিয়াম (Potassium) – যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। সিঙ্গাপুরি কলার নাম শুনে মনে হতে পারে এটি সিঙ্গাপুর থেকে এসেছে, কিন্তু বাস্তবে এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশ থেকে আমাদের অঞ্চলে এসেছে। তবে নামের এই বিভ্রান্তিটুকুই হয়তো এর আকর্ষণ বাড়িয়ে দিয়েছে! খাবারের জগতে এমন অনেক কিছুই আছে, যেগুলোর নাম শুনে মনে হয় এটি বিদেশি, অথচ তা একদম স্থানীয়ভাবে উৎপন্ন(Singapuri Banana Origin)। তাই, পরের বার যখন সিঙ্গাপুরি কলা খাবেন, তখন এই মজার ইতিহাসটি মনে রাখবেন!