চিটফান্ড তদন্তে ফের সক্রিয় ইডি। আজ মঙ্গলবার নিউ আলিপুর-সহ কলকাতা ও শহরতলির একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে ED।
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা:- নিউ আলিপুরে ইডির হানা। দিল্লির একটি চিট ফান্ড সংস্থার তদন্তে এই হানা। আমানতকারীদের টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ এই সংস্থার বিরুদ্ধে। নিউ আলিপুরের অভিজাত ফ্ল্যাটে ইডি আধিকারিকরা এদিন সকালেই হানা দেন। এই কোম্পানির অন্যতম ডিরেক্টর অভিক বাগচীর বাবা বাসুদেব বাগচীকে এর আগে একবার সিবিআই গ্রেফতার করেছিল। অভিকের বাবা বাসুদেব বাগচী এই কোম্পানির সিএমডি।
প্রয়াগ নামক এই সংস্থা রেজিস্টার হয়েছিল ১৯৯৭ সালে। এরপর এটি অর্থলগ্নি সংস্থা হয়ে ওঠে ২০০২ সালে। এর আগে এই ঘটনার তদন্ত করে সিবিআই। ২০১৭ সালে সংস্থার কর্ণধার বাসুদেব বাগচী ও তাঁর পুত্র অভিক বাগচীকে গ্রেফতার করে। সিবিআই তদন্তে জানতে পারে, এই সংস্থার সব থেকে বেশি বাড়বাড়ন্ত হয়েছিল রাজ্যে সরকারের পালাবদলের পর। ২০১৩ সালে সারদাকাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পরে প্রয়াগ নামক এই ভুয়ো অর্থ লগ্নি সংস্থাও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার স্ক্যানারে আসে। প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা আমানতকারীদের কাছ থেকে তুলে নেয়। ২০১২ সালে একাধিক হোটেল রিসর্ট চালু হয় সেই আমানতকারীদের গচ্ছিত টাকায়। সেই বছরেই জোকাতে ম্যানেজমেন্ট কলেজের কাছে ৭০ বিঘা জমির ওপর তৈরি হয় অ্যারিস্ট্রো ক্লাব নামে একটি সুবিশাল বিলাসবহুল রিসোর্ট। যেখানে রয়েছে একাধিক ব্যাঙ্কোয়েট, সুইমিং পুল, ক্যাফে, ওপেন লাউঞ্জ এবং ৭ টি বাগান। যার একরাতের ভাড়া টেক্কা দেবে শহরের যেকোনো পাঁচতারা হোটেলকে। সেই রিসর্টে আজ হানা দিয়েছে ইডি।
অপরদিকে, শাসক দলের একাধিক নেতার ঘনিষ্ঠতার সুবাদে জমি কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছিল বাসুদেব বাগচীর। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা ফিল্মসিটি তৈরি করার নামে ৪০০ একর জমি তিনি হাতিয়ে নিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ। যার মধ্যে সরকারি জমি, পাট্টা জমি ছিল। ৪০০ একর জমিতে ফ্লিমসিটি তৈরি করলেও, রেজিস্ট্রি করা হয়েছে মাত্র ৫০ একর জমির। এই ফিল্ম সিটি ২০১২ সালে এক স্বনামধন্য বলিউড তারকা উদ্বোধন করেছিলেন।