নিউজ পোল ব্যুরো, কলকাতাঃ বর্তমানে ‘ডিপ্রেশন’ শব্দটির সঙ্গে পরিচিত নন এমন মানুষ বোধহয় পৃথিবীতে খুব কমই রয়েছেন। গরিব থেকে ধনী, খ্যাতনামা থেকে সাধারণ মানসিক অবসাদে ভুগছেন এমন উদাহরণ যেন আনাচে কানাচে। কিন্তু নিত্যদিনের এই মানসিক অবসাদই অনেক সময় চর্চার তুঙ্গে ওঠে যখন বিষয়টির সঙ্গে জড়িয়ে থাকা মানুষটি হয় সেলিব্রেটি। সম্প্রতি মানসিক অবসাদে ভুগছেন এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন সঙ্গীত জগতের খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব এ আর রহমান। সঙ্গীতের মূর্ছনায় সারতে পারে বহু ক্ষত। মনের মধ্যে বাস করা অসুরও বদলে যায় সঙ্গীতের সুরে। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে এমনই দাবি করেছেন সুরকার এ আর রহমান, আর তারপর থেকেই জোরচর্চা শুরু হয়েছে ভক্ত মহলে। মন খারাপ রেহমান ফ্যানদের।
গত ১৯ নভেম্বর রেহমানের বৈবাহিক জীবনে আসে ভাঙন, শোনা যায় সায়রা-রহমানের ডিভোর্সের কথা। সেই জল্পনা পেরিয়ে দর্শক মহল উত্তাল হয় নানান কৌতূহলে। খোরপোষ হিসেবে সম্পত্তির ভাগাভাগি, সন্তানদের দায়িত্ব কার ওপর আসছে? এসব বিষয় নিয়ে শুরু হয় কাটাছেঁড়া। কেউ কেউ আবার বিবাহ বিচ্ছেদের খবরে দুঃখপ্রকাশ করে তাঁর জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনারত, দাম্পত্য যেন জোড়া লাগে।
এমনকি এই বিষয়ে আশাবাদী বলেন খোদ তাঁদের আইনজীবী বন্দনা শাহ। তিনি বলেন, ‘আমি তো কখনও বলিনি ওঁদের ভাঙা বিয়ে জোড়া লাগবে না। আমি নিজে ভীষণ ইতিবাচক একজন মানুষ। আর সবসময়ে ভালোবাসা, রোমান্স নিয়ে কথা বলি। সায়রা-রহমানের যৌথ বিবৃতিতেই তো সবটা পরিষ্কার। যেখানে ওঁদের কষ্ট এবং বিচ্ছেদের কথা বলা হয়েছে। দীর্ঘদিনের দাম্পত্য ওঁদের, তাই অনেক ভাবনাচিন্তা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওঁরা। কিন্তু আমি তো এরমাঝে কখনও বলিনি যে এ আর রহমান এবং সায়রাবানুর পুনর্মিলন সম্ভব নয়।’
সন্তানদের দায়িত্ব কার? সেই বিষয়ের উত্তরে আইনজীবী বন্দনা শাহ জানান, ‘সায়রা এবং রহমান কেউ এখনও সেটা ঠিক করেননি। সন্তানরা সকলেই প্রাপ্তবয়স্ক। ওঁরা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেবে মা না বাবার কাছে থাকবে।’
খোরপোষ সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিচ্ছেদের পর স্বামীর সম্পত্তির অর্ধেকাংশ যে স্ত্রী পাবেন খোরপোষ হিসেবে, সেটা ভারতে এক প্রচলিত ধারণা ছাড়া কিছুই নয়। এই ধরণের কোনও আইনও নেই। তাই রহমান-সায়রার ক্ষেত্রেও বিষয়টি প্রযোজ্য। আইনজীবীর সংযোজন, ডিভোর্সের মামলা দায়ের করার সঙ্গে সঙ্গেই স্ত্রীরা সম্পত্তির অর্ধেক মালিকানা পান না। এই আইনি প্রক্রিয়া চলতে একটু সময় লাগে। তাই রায় দানের আগে আদালত তথ্য প্রমাণাদি যাচাই করে। যদিও এ আর রহমান এবং সায়রাবানু বন্ধুত্বপূর্ণভাবেই ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাই এক্ষেত্রে খোরপোষের প্রশ্নই ওঠে না।’