Facebook Account: ফেসবুকের এই গুরুত্বপূর্ণ ফিচার না জানলে আপনার ক্ষতি হতে পারে!

প্রযুক্তি বিজ্ঞান

নিউজ পোল ব্যুরো: গত বছর ইনস্টাগ্রাম (Instagram) প্ল্যাটফর্মে কিশোর-কিশোরীদের সুরক্ষা বাড়ানোর জন্য ‘টিন অ্যাকাউন্টস’ ফিচার (Teen Acounts Feature) চালু করা হয়, যা অপ্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীদের সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) ব্যবহারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে তৈরি। এবার, মেটা সেই একই ফিচারটি ফেসবুক (Facebook Account) এবং মেসেঞ্জারেও (Messenger) যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার মাধ্যমে ১৮ বছরের নিচে থাকা ব্যবহারকারীদের সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) ব্যবহারের ওপর আরও কঠোর নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব হবে। এই পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য হল কিশোর-কিশোরীদেরকে অশ্লীল এবং অপ্রত্যাশিত কনটেন্ট থেকে সুরক্ষিত রাখা ও তাদের সোশ্যাল মিডিয়া অভিজ্ঞতাকে আরও নিরাপদ করে তোলা।

আরও পড়ুন: Aadhaar Update: ডকুমেন্ট নয়, মুখ স্ক্যান করলেই মিলবে আধার কার্ড!

মেটা (Meta) গত বছর ইনস্টাগ্রামে ‘টিন অ্যাকাউন্টস’ ফিচার (Teen Acounts Feature) চালু করার পর, অভিভাবকরা ফেসবুক (Facebook Account) এবং মেসেঞ্জারে (Messenger) একই ধরনের নিরাপত্তা ফিচার যুক্ত করার জন্য দাবি করেছিলেন। এর ফলে, ১৬ বছর বয়সের নিচে থাকা ব্যবহারকারীরা তাঁদের বাবা-মায়ের অনুমতি নিয়ে প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করতে পারবেন। এমনকি, এই ফিচারের মাধ্যমে ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের কাছে পাঠানো অশ্লীল ছবি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঝাপসা হয়ে যাবে। এছাড়া, অপ্রত্যাশিত বা বিরক্তিকর বার্তা থেকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে অটোমেটেড ফিল্টার সিস্টেম চালু করা হয়েছে।

মেটা (Meta) জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া এবং কানাডার কিশোর-কিশোরীদের জন্য এই ফিচারটি চালু করা হবে, এবং আগামী দুই মাসের মধ্যে তা প্রয়োগ শুরু হবে। নতুন এই আপডেটে ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের সোশ্যাল মিডিয়া ফিডের ওপর আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ থাকবে। বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা হিসেবে রাতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ‘স্লিপ মোড’ (Sleep Mode) কার্যকর হবে। যার মাধ্যমে রাত ১০টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত কোনও বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হবে না।

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক: https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT

ফেসবুক (Facebook Account) এবং মেসেঞ্জারে (Messenger) কিশোর-কিশোরীদের জন্য এই আপডেটের মাধ্যমে তাদের সোশ্যাল মিডিয়া অভিজ্ঞতা আরও সুরক্ষিত হবে এবং বাবা-মায়ের নিয়ন্ত্রণ থাকবে তাদের সন্তানের অ্যাকাউন্টের ওপর।