নিউজ পোল ব্যুরো: শনিবার ভোররাতে যখন শহর ঘুমিয়ে, তখন হঠাৎ করেই জেগে উঠল দিল্লির মুস্তাফাবাদ (Delhi)। দিল্লির মুস্তাফাবাদ (Delhi) এলাকায় ঘটে যায় এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। একটি চারতলা ভবন আচমকাই ধসে পড়ে। শনিবার (Saturday) রাত ৩টার দিকে ঘটে যাওয়া এই ঘটনাটি রীতিমতো আতঙ্ক ছড়ায় গোটা এলাকায়।
আরও পড়ুন: Modi-Musk: মোদীর সঙ্গে বৈঠকে বড় প্ল্যান দিলেন মাস্ক
ঘটনায় মুহূর্তের মধ্যে ছুটে আসে পুলিশ, দমকল বাহিনী ও জাতীয় দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনী (NDRF)। উদ্ধার অভিযান শুরু হয় যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। সিনিয়র পুলিশ কর্তা সন্দীপ লাম্বা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে ১৪ জনকে ধ্বংসস্তূপের (Rubble) নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে ৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এখনো ৮-১০ জন মানুষ ধ্বংসস্তূপের (Rubble) নিচে আটকে থাকার আশঙ্কা রয়েছে।
আহতদের দ্রুত জিটিবি হাসপাতালে (GTB Hospital) নিয়ে যাওয়া হয়েছে চিকিৎসার জন্য। তবে কতটা গুরুতর চোট তাঁদের লেগেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
দিল্লি ফায়ার সার্ভিসের ডিভিশনাল অফিসার রাজেন্দ্র আটওয়াল (Rajendra Atwal) জানিয়েছেন, “রাত ২টা ৫০ মিনিটে আমরা ফোন পাই। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখি, গোটা বিল্ডিংটাই ধসে পড়েছে। ধ্বংসস্তূপের (Rubble) নিচে মানুষ আটকে রয়েছেন,সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকাজ শুরু করি।”
NDRF-এর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এটি একটি “প্যানকেক কলাপস”,যেখানে প্রতিটি তলা একের পর এক ধসে পড়ে। এই ধরণের ধসে বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। তার ওপর এলাকাটি অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ এবং সরু গলির কারণে ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা কঠিন, যা উদ্ধারকাজ আরও জটিল করে তুলেছে।
সিসিটিভি ফুটেজে ধসের মুহূর্ত ধরা পড়েছে !একটি হালকা বিস্ফোরণের শব্দ ও হঠাৎ ধুলোর ঘন মেঘ ছেয়ে যায় পুরো এলাকা। এরপর আর কিছু দেখা যায়নি। স্থানীয় দমকল কর্মকর্তা রাজেন্দ্র আটওয়াল জানান, রাত ২:৫০-এ তারা ফোন পান এবং ঘটনাস্থলে পৌঁছে বুঝতে পারেন যে পুরো ভবনটি ধসে পড়েছে।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক: https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় (Delhi) ভারী যন্ত্রপাতি নিয়ে কাজ করা অত্যন্ত কষ্টকর। সংকীর্ণ গলিতে মেশিন প্রবেশ করা কঠিন হওয়ায় উদ্ধারকাজ আরও জটিল হয়ে পড়েছে।প্রাথমিকভাবে ধসের কারণ জানা না গেলেও, কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে তদন্ত চলছে। আহতদের জিটিবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এই দুর্ঘটনার আগে দিল্লি ও আশপাশের অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টি, ঝোড়ো হাওয়া এবং বজ্রপাত হয়েছিল। একই দিনে মিরাটে আরেকটি ভবন ধসে প্রাণ হারায় একটি পরিবার।