নিউজ পোল ব্যুরো: কলকাতার (Kolkata) প্রাণকেন্দ্র বড়বাজারের ঘিঞ্জি এলাকায়, মেছুয়া বাজারের (Kolkata) এক পুরনো হোটেলে লাগা ভয়াবহ আগুনে প্রাণ হারালেন অন্তত ১৪ জন। মঙ্গলবার (Tuesday) সন্ধ্যাবেলায় ঘটে যাওয়া এই মর্মান্তিক ঘটনায় গোটা শহর শোকাচ্ছন্ন। নিহতদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ, এক মহিলা ও দু’জন শিশু রয়েছে। আগুন লাগার সময় হোটেলের ভিতরে আটকে পড়েন অনেকেই। প্রাণ বাঁচাতে একজন কর্মী হোটেলের উপর থেকে ঝাঁপ দেন, যদিও শেষরক্ষা হয়নি।
আরও পড়ুন: Sukanta Majumdar: পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশের পার্ট টু বললেন সুকান্ত
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ ও দমকল কর্মীরা। তবে এলাকাটি অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় এবং গলিগুলো সংকীর্ণ হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সমস্যায় পড়তে হয়। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় দমকলের বহু ইঞ্জিন আগুন নেভাতে নামলেও, রাতভর জ্বলতে থাকে হোটেলটি।
ঘটনার গুরুত্ব বুঝে রাতেই ছুটে যান কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী শশী পাঁজাও (Sashi Panja)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) দিঘা (Digha) সফরে থাকলেও সেখান থেকেই ফোনে গোটা পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন।
এই হৃদয়বিদারক ঘটনার জেরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) এক্স (প্রাক্তন টুইটার) হ্যান্ডেলে বাংলায় শোকবার্তা প্রকাশ করে জানান, “কলকাতায় (Kolkata) অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় আমি গভীরভাবে মর্মাহত। নিহতদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।” পাশাপাশি তিনি প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে নিহতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা (Financial assistance) দেওয়ার ঘোষণা করেন।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক: https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
এদিকে আগুন লাগার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে কলকাতা পুলিশ ইতিমধ্যেই বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করেছে। তদন্তের আওতায় আনা হচ্ছে, হোটেলে আদৌ কোনও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল কি না এবং অনুমোদন ছিল কিনা। ঘটনার পর থেকেই হোটেল মালিক পলাতক। এই ঘটনার পর শহরের বহু এলাকায় হোটেল ও গেস্টহাউসগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।