India Pakistan Ceasefire: সীমান্তে শান্তির ছায়া, কূটনীতির পর্দার আড়ালে ভারত-পাক যুদ্ধবিরতির কাহিনী

দেশ

নিউজ পোল ব্যুরো: দীর্ঘ উত্তেজনা আর রক্তপাতের পরে অবশেষে সীমান্তে ফিরছে শান্তির বার্তা। ১০ মে থেকে শুরু হওয়া ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির (India Pakistan Ceasefire) মেয়াদ বাড়িয়ে ১৮ মে পর্যন্ত চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই ঘোষণা আসে এক গোপন হটলাইন (DGMO Hotline) বৈঠকের পর, যেখানে কথা বলেন দুই দেশের ডিজিএমও (DGMO)। ভারতের তরফে লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই (Rajiv Ghai) এবং পাকিস্তানের পক্ষ থেকে (India Pakistan Ceasefire) তাঁর সমকক্ষ আধিকারিক।

আরও পড়ুন: S Jaishankar: চাণক্যের পথেই নয়াদিল্লি? তালিবানের সঙ্গে নতুন অধ্যায় ভারত-আফগান সম্পর্কের

এই শান্তিপ্রচেষ্টা (India Pakistan Ceasefire) যদিও নতুন নয়, তার প্রেক্ষাপট অত্যন্ত রক্তক্ষয়ী। ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় (Pahalgam Terror Attack) প্রাণ হারান ২৬ জন নিরীহ মানুষ। তদন্তে উঠে আসে পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ মদতের প্রমাণ এবং দায় স্বীকার করে লস্কর-ই-তইবার ছায়াসংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’। পালটা প্রতিক্রিয়ায় পাক অধিকৃত কাশ্মীরসহ পাকিস্তানের ৯টি স্থানে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এই ঘাঁটিগুলি পাকিস্তানের সেনা এবং আইএসআইয়ের সহায়তায় পরিচালিত হত।

যদিও যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরও একাধিকবার চুক্তি লঙ্ঘন করে পাকিস্তান। সেই সময় কড়া হুঁশিয়ারি দেন ভারতীয় ডিজিএমও রাজীব ঘাই (Rajiv Ghai)। যদি চুক্তি ভঙ্গের (India Pakistan Ceasefire) ঘটনা পুনরাবৃত্তি ঘটে, তবে সীমান্তে ভারতীয় বাহিনীকে প্রতিহত করতে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট, সীমান্তে ভারতের এক ইঞ্চি জমিও ছাড়বে না।

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই যুদ্ধবিরতি সাময়িক হলেও তা ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের কূটনৈতিক কৌশল এখন আগ্রাসনের সঙ্গে সমঝোতার মিশ্রণে গড়ে উঠছে। একদিকে তালিবানের সঙ্গে যোগাযোগ, অন্যদিকে পাকিস্তানকে চাপের মুখে রেখে সাময়িক শান্তি প্রতিষ্ঠার কৌশল স্পষ্ট।