বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari’s criticism) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ না দেওয়া নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন। শনিবার দিল্লির ভারত মণ্ডপমে আয়োজিত এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে দেশের প্রায় সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা উপস্থিত থাকলেও, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী অনুপস্থিত ছিলেন। এই অনুপস্থিতিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক এবং রাজ্য-কেন্দ্র সম্পর্কের টানাপোড়েন নতুন করে সামনে এসেছে।
আরও পড়ুন:https://thenewspole.com/2025/05/25/kaliganj-bypoll-2025-election-date-announced/
রবিবার নন্দীগ্রামে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান শোনার আয়োজনের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপকে ‘বাংলার জন্য একটি ক্ষতি’ বলে অভিহিত করেন। তিনি অভিযোগ করেন, মুখ্যমন্ত্রীর এই অনুপস্থিতি পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং কেন্দ্রের মধ্যে একটি কার্যকরী এবং সহযোগিতামূলক সম্পর্ক তৈরির সুযোগ নষ্ট করেছে। অধিকারী আরও উল্লেখ করেন, কেন্দ্র সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প যেমন আয়ুষ্মান ভারত, বিশ্বকর্মা প্রকল্প অথবা অন্যান্য উন্নয়নমূলক প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গে বাস্তবায়িত হচ্ছে না, যা রাজ্যের পিছিয়ে থাকার অন্যতম কারণ। তিনি মনে করেন, নীতি আয়োগের মঞ্চে যোগ দিয়ে রাজ্যের সমস্যাগুলো তুলে ধরার এবং কেন্দ্রের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সমর্থন আদায়ের এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ ছিল, যা মুখ্যমন্ত্রী হাতছাড়া করেছেন।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari’s criticism) অত্যন্ত কঠোর ভাষায় বাংলাকে ‘দেউলিয়া রাজ্য’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, “বাংলা দেউলিয়া… তবুও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার অহংকার নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন… তিনি বিমানবন্দর এবং এইমসের জন্য জমি দিচ্ছেন না।” এর মাধ্যমে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন যে রাজ্যের আর্থিক অবস্থা শোচনীয় হওয়া সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ব্যক্তিগত অহংকার এবং একগুঁয়েমির কারণে কেন্দ্রের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন না। তাঁর মতে, এই অসহযোগিতা রাজ্যের উন্নয়নের পথে বড় বাধা সৃষ্টি করছে এবং সাধারণ মানুষের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। তিনি আরও দাবি করেন যে, রাজ্যের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের জন্য জমি প্রদানের ক্ষেত্রেও মুখ্যমন্ত্রী অনীহা দেখাচ্ছেন, যা রাজ্যের পরিকাঠামো উন্নয়নে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্য রাজ্যের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বাদানুবাদের জন্ম দিয়েছে, যেখানে রাজ্যের উন্নয়ন এবং কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ঘটনা ভবিষ্যতে কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কে আরও জটিলতা তৈরি করতে পারে।