Karishma Kapoor: অভিষেক-করিশ্মা সম্পর্কের ভাঙন: আজও যন্ত্রণার ছাপ স্পষ্ট

পেজ 3

নিউজ পোল ব্যুরো: হেডলাইন: বলিউড অভিনেত্রী করিশ্মা কপূরের (Karishma Kapoor) ব্যক্তিগত জীবন ফের উঠে এল আলোচনার কেন্দ্রে। ১২ জুন প্রয়াত হয়েছেন তাঁর প্রাক্তন স্বামী সঞ্জয় কপূর। এই ঘটনার পরই করিশ্মাকে ঘিরে পুরনো সম্পর্ক ও মানসিক যন্ত্রণার স্মৃতি ফিরে আসছে সামনে।

আরও পড়ুন: Sushmita Sen: বলিউডে কেন কোণঠাসা হলেন সুস্মিতা?

২০০৩ সালে সঞ্জয় কপূরের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন করিশ্মা। তবে তারও আগে, ২০০২ সালে অভিনেতা অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে বাগ্‌দান হয়েছিল তাঁর। প্রায় পাঁচ বছরের প্রেমের সম্পর্কের পরে তাঁদের বিয়ের পরিকল্পনা থাকলেও, বাগ্‌দানের পরেই ভেঙে যায় সেই সম্পর্ক। এই বিচ্ছেদ করিশ্মার জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে।

এক পুরনো সাক্ষাৎকারে করিশ্মা (Karishma Kapoor) বলেন, “এই বছরের শুরুটা আমার জীবনের অন্যতম ভয়ঙ্কর সময় ছিল। আমি চাই না, কোনও মেয়েকে এরকম পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হোক। নিজেকেই সাহস জুগিয়ে মানসিকভাবে উঠে দাঁড়াতে হয়েছিল। সময়ই ছিল আমার একমাত্র নিরাময়।”

অভিষেকের নাম সরাসরি না নিলেও, করিশ্মা স্পষ্টভাবে জানান, “অনেক যন্ত্রণা পেয়েছি। যা হওয়ার ছিল, তা হয়েছে। তবে মানসিকভাবে আমি তখন প্রস্তুত ছিলাম না। জীবন যে কখন কিসের সামনে ফেলে দেয়, তা কেউ জানে না। তবে আমি সব কিছু পার করে এগিয়ে চলেছি।”

তিনি আরও বলেন, বাবা-মা ও বোন করিনার সমর্থন না পেলে তিনি হয়তো এই যন্ত্রণা কাটিয়ে উঠতে পারতেন না।

অন্যদিকে, অভিষেকের বাবা অমিতাভ বচ্চনও এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ‘অবাঞ্ছিত পরিস্থিতির’ কারণে তাঁদের সম্পর্ক ভেঙেছিল। ‘কফি উইথ করণ’ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “ওই সময়টা খুব সংবেদনশীল ছিল। সম্পর্ক যেমন গড়ে ওঠে, তেমনই ভেঙেও যায়। কিন্তু এক তরুণ এবং তাঁর পরিবারের জন্য এটি অত্যন্ত কষ্টদায়ক ঘটনা ছিল। আশা করি, আর কারও সঙ্গে এমন কিছু না ঘটে।”

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আবারও আলোচনায় উঠে এসেছেন করিশ্মা কপূর—একজন অভিনেত্রী হিসেবে নয়, একজন নারী হিসেবে, যিনি একের পর এক সম্পর্কের ধাক্কা সামলে আবার নিজেকে গড়ে তুলেছেন। করিশ্মার জীবনের এই অধ্যায় আমাদের মনে করিয়ে দেয়, গ্ল্যামারের ঝলকানির আড়ালেও থেকে যায় ভাঙনের কষ্ট, মানসিক যুদ্ধ আর একান্ত একাকীত্ব।

তাঁর মতো বহু নারী আজও সমাজের চোখ রাঙানির মধ্যে দিয়েই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নেয়, যন্ত্রণাকে চেপে রেখে জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। করিশ্মার মুখ খোলা এই স্বীকারোক্তি সেই নারীদের কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠে, যারা একই রকম অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছেন।

শেষ পর্যন্ত, সময়ই সবচেয়ে বড় নিরাময়। এবং করিশ্মা কপূরের মতো মানুষরা সেই সময়ের অপেক্ষায় ধৈর্য ও সাহসে এগিয়ে যান—নীরবে, দৃঢ়ভাবে।

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক: https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT