হাতি সংরক্ষণে অসন্তোষ প্রকাশ হাই কোর্টের

আইন কলকাতা জেলা রাজ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা:- হাতি সংরক্ষণে রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করল কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। অন্য রাজ্যগুলিতে হাতি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে যে ভূমিকা পালন করা হয়, এরাজ্যে সেই বিষয়ে সরকারি উদাসীনতা রয়েছে বলে মন্তব্য প্রধান বিচারপতির। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘শ্রীলঙ্কায়, কেরলে হাতি সংরক্ষণে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। খাবার, চিকিৎসা সহ বিভিন্ন সরঞ্জামের ব্যবস্থা থাকে। তাই এই বিষয়ে আরও সংবেদনশীলতার প্রয়োজন রয়েছে রাজ্যের।’

ঝাড়গ্রামে অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে হাতি লোকালয় থেকে জঙ্গলে ছাড়ার সময় মৃত্যুর ঘটনায় এবং অন্তসত্ত্বা হাতির মৃত্যুতে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। অভিযোগ, হাতি লোকালয়ে ঢুকলে তাকে সরানোর জন্য অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ট্রাঙ্কুলাইজেশন, ক্রেনে করে ঝুলিয়ে পুনরায় জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়ার জন্য হাতির মৃত্যু হচ্ছে। সংরক্ষণের বিষয়ে সরকার তার ভূমিকা এড়াতে পারে না। এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে আবেদনকারীর আইনজীবী রৈবত বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে জানান, উত্তরবঙ্গে জয়রাইড হিসেবে হাতি ব্যবহার করা হয়। দক্ষিণবঙ্গে মানুষের সঙ্গে হাতির দ্বন্দ্বের বিষয়টি খুব স্বাভাবিক। অনেক সময় হাতি লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। তখনই নৃশংসভাবে পুনর্বাসনের কারণে হাতির মৃত্যু হচ্ছে। তখনই প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, পশু অধিকার সুরক্ষিত করতে আদালতের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। নয়তো এভাবে হুলা পার্টির ব্যবহার, মশাল ব্যবহার সহ অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে আরও হাতির মৃত্যু হবে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ঝাড়গ্রামে অন্তসত্ত্বা হাতির মৃত্যুতে রিপোর্ট তলব করে হাই কোর্ট। সেই রিপোর্টে এদিন অসন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। এদিন তিনি এও মন্তব্য করেন, ‘আগে মানুষকে দোষারোপ করা উচিত। কারণ, বন্যপ্রাণীদের বসবাসের জায়গায় বসতি গড়ে তোলা, জায়গা দখলের জন্য লোকালয়ে হাতি প্রবেশের ঘটনা ঘটছে। কিন্তু এভাবে হাতির মৃত্যু দুঃখজনক।’