নিজস্ব, প্রতিনিধি কলকাতা: তদন্তের ২৪ ঘন্টার মধ্যে বকখালি থেকে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হল প্রোমোটার শুভাশিস রায়।গতকাল বুধবার বিদ্যাসাগর চার তলা ফ্ল্যাট আচমকা ভেঙে পড়ার ঘটনা কি কেন্দ্র করে প্রশ্ন উঠে থাকে একাধিক। এলাকাবাসী দাবি ফ্ল্যাটটিতে ফাটল দেখা গিয়েছিল আগেই তারপরেই প্রশ্ন ওঠে তবে কেন আগে থেকে সতর্ক থাকা হয়নি? আজ সেই বিষয়ে মুখ খুললেন পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
ফ্ল্যাট ভাঙ্গনের পর খবর দেওয়া হয় ফ্ল্যাটের প্রোমোটারকে। তিনি মেরামতের আশ্বাস দিয়েছিলেন আগেই। ফাটলের জন্য ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এরপরেও এলাকাবাসীর অভিযোগ বর্তমানে কাউন্সিলার আগের বার নির্বাচিত হয়ে কলোনিতে চারতলা বেআইনি ফ্ল্যাট তৈরির অনুমোদন দিয়েছিলেন। জলা জমিতে তৈরি হওয়ার কারণে ফ্ল্যাটটি বেশ কয়েকদিন ধরেই বসে যাচ্ছিল, তারপরেই এই বিপত্তি।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা নাগাদ বিদ্যাসাগর পৌছান পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এলাকায় পৌঁছে বহুতলের ফ্ল্যাট মালিকদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন তিনি। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে করেন পরিদর্শন।
পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, ‘গাড়ি তোলার যন্ত্র দিয়ে ফ্ল্যাটবাড়ি তোলার চেষ্টা হয়েছিল। সেখান থেকেই বিপত্তি।’ তিনি আরও জানান,যাঁরা ওই বহুতলে ফ্ল্যাট কিনেছিলেন, তাঁদের পাশে কলকাতা পুরসভা তথা পশ্চিমবঙ্গ সরকার রয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তাঁদের যথাযথ সাহায্য করার আশ্বাস দেন ফিরহাদ হাকিম।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ধারণাকে বোঝাতে গিয়ে তিনি বলেন, গাড়ি তোলার যন্ত্র দিয়ে বাড়ি ‘লিফ্টিং’-এর কাজ হয়েছে। জলাভূমি বুজিয়ে ফ্ল্যাটবাড়ি তোলার আগে মাটি পরীক্ষা করেও দেখা হয়নি। তাঁর যুক্তি ‘কলোনি এলাকায় কোনও বাড়ির প্ল্যান থাকে না। নিজেরাই কমিটি তৈরি করে বাড়ি করে নেওয়া হত। আর বাম আমলে কোনও বাড়ির ক্ষেত্রেই প্ল্যানিং হত না। সেই সময়ে অনলাইনে কিছু হত না। ফাইলে সব নথি জমা থাকত। এই বাড়ির ফাইল এখনও খুঁজেই পাওয়া যায়নি।’ এদিন এলাকায় পৌঁছে স্থানীয় বাসিন্দাদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করার জন্য সরকারের উপর ভরসা রাখার কথা বলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।