নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদা: আমরা চাইলেই আমাদের ভাগ্য বদলাতে পারি না। আমাদের ভাগ্যে যা আছে সেটাই হবে। ভাগ্য সঙ্গ দিলে সব কাজই সম্ভব। এমন ভাবনাতেই কাটছিল তাঁর জীবন। স্বপ্নেও কল্পনা করেননি তিনি। একটা লটারিতেই কয়েক ঘন্টায় বদলে গেল সবকিছু। ছিলেন পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে গেলেন কোটিপতি। সৌজন্যে লটারির টিকিট। একটা লটারির টিকিটেই রাতারাতি ভাগ্য বদল পরিযায়ী শ্রমিকের। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের মারাডাঙির বাসিন্দা তিনি।
সদ্য কোটিপতি হওয়া যুবকের নাম মুন্না আলি (৩০)। ঘটনায় তোলপাড় হয়ে গিয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর জুড়ে। এদিন টিকিট বিক্রেতা ইসারুল হকের থেকে ১৫০ টাকার লটারি টিকিট কাটেন । সন্ধ্যায় ফলাফল আসার পর নম্বর মিলিয়ে দেখেন তিনি ১ কোটি টাকা জিতেছেন। এরপরই আনন্দে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন মুন্না সহ তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
স্থানীয় সূত্রে খবর,নুন আনতে পান্তা ফুরানোর সংসার মুন্নার। বয়স্ক বাবা স্ত্রী ও পুত্রকে নিয়ে থাকেন তিনি। দিল্লিতে ১৪ বছর ধরে প্লাস্টিকের কাজ করে আসছেন। পাশাপাশি মাঝে মধ্যে সংসারের স্বচ্ছলতা আনার জন্য লটারির টিকিট কাটতেন তিনি। ভাবতেন যদি এর মাধ্যমে কখনও ভাগ্য ফিরে যায়। আর হলও তাই। একটি লটারির টিকিট কাটেন ভবানীপুর ব্রিজ মোড় থেকে। আর তাতেই এক কোটি টাকা জিতে সেই টিকিটই ফিরিয়ে দেয় তাঁর ভাগ্য।
কোটি টাকা জেতার পর মুন্না আবেগঘন হয়ে পড়েন। বলেন, লটারির টিকিট কেটে রাতারাতি কোটিপতি হব আশা করিনি। এই টাকা দিয়ে বাড়িটাকে সবার আগে ঠিক করবো এবং কিছু জমি কিনবো। পাশাপাশি ছেলের পড়াশোনার জন্য টাকা জমিয়ে রাখবো। কিন্তু এতগুলো টাকা নিয়ে নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন তিনি। তাই তিনি হরিশচন্দ্রপুর থানার পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মুন্নাকে থানায় নিয়ে যায়।