রায়দান আড়াইটে

অপরাধ আইন আন্তর্জাতিক কলকাতা জেলা দেশ রাজনীতি রাজ্য শহর

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা:- *সঞ্জয় কে যে ধারা দেয়া হয়ছে ও তার শাস্তির নিদান* …….

ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ নম্বর ধারায় সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ১০৩-এর ১ নম্বর ধারায় টালা থানায় খুনের মামলা রুজু হয়।
সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারা 64 (ধর্ষণ), ধারা 66 (মৃত্যু ঘটানো বা ক্রমাগত উদ্ভিজ্জ অবস্থার ফলে শাস্তি) এবং 103 (খুনের শাস্তি) এর অধীনে মামলা করা হয়েছে।

U/s 64, 66 & 103(1) of BNS এই ধারাতে চার্জশিট দিয়েছিল সিবিআই। এই ধারাতে চার্জ গঠন করা হয়।

এই ধারা গুলোয় কি শাস্তি …….
বিএনএস 64: ধর্ষণ (যে কেউ, উপ-ধারা (2) এ প্রদত্ত মামলাগুলি ব্যতীত, ধর্ষণ করে, তাকে যেকোন বর্ণনার সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হবে একটি মেয়াদের জন্য যা দশ বছরের কম হবে না, তবে যা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। , এবং এছাড়াও জরিমানা দায়বদ্ধ,অথবা ফাঁসি)

বিএনএস 66 : শাস্তি

যে কেউ, ধারা 64 এর উপ-ধারা (1) বা উপ-ধারা (2) এর অধীনে দণ্ডনীয় অপরাধ করে এবং এই ধরনের কমিশনের সময় এমন একটি আঘাত দেয় যা মহিলার মৃত্যু ঘটায় বা মহিলাকে ক্রমাগত উদ্ভিদে পরিণত করে। রাষ্ট্র, বিশ বছরের কম হবে না এমন একটি মেয়াদের জন্য সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে, তবে যা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত প্রসারিত হতে পারে, যার অর্থ হবে সেই ব্যক্তির স্বাভাবিক জীবনের বাকি সময়ের জন্য কারাদণ্ড, অথবা মৃত্যু।

বিএনএস ১০৩(১): ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, 2023-এর ধারা 103-এ হত্যার শাস্তি সম্পর্কে বলা হয়েছে। এই ধারা অনুযায়ী, হত্যাকারী ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং জরিমানাও দিতে হবে।

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের মামলার রায়দান করা হবে শিয়ালদহ আদালতে শনিবার। দুপুর দুটো তিরিশ মিনিটে এই মামলার রায় ঘোষণা করবেন অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক অনির্বাণ দাস। গত ৯ অগস্ট তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। ২০২৪ সালের ৯ অগস্ট থেকে ২০২৫ সালের ১৮ জানুয়ারি ১৬২ দিনের মাথায় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় রায়দান। এই ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছিল কলকাতা-সহ পুরো পশ্চিমবঙ্গ। প্রতিবাদের স্বর শোনা গিয়েছিল ভারত-সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে।

*রায় দানের আগে দেখে নেওয়া যাক ঠিক কি কি ধারায় মামলা রুজু হয়েছিল ধৃত সঞ্জয় রাইয়ের বিরুদ্ধে। টালা থানায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারা 64 (ধর্ষণ), ধারা 66 (মৃত্যু ঘটানো বা ক্রমাগত উদ্ভিজ্জ অবস্থার ফলে শাস্তি) এবং 103-এর 1 ধারার(খুনের শাস্তি) অধীনে মামলা মামলা রুজু হয়। এরপর U/s 64, 66 & 103(1) of BNS এই ধারাতে চার্জশিট দিয়েছিল সিবিআই। এই ধারাতে চার্জ গঠন করা হয় আদালতে*।
এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক ঘটনাক্রম –

৯ অগস্ট: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের সেমিনার রুম থেকে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়।

১০ অগস্ট: গ্রেফতার করা হয় ধর্ষণ এবং খুনের মামলার মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে। কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার ছিল সঞ্জয়।

১৩ অগস্ট: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের।

১৮ অগস্ট: স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা শুনবে বলে জানায় সুপ্রিম কোর্ট।

সেপ্টেম্বর মাসে কলকাতা পুলিশের তৎকালীন কমিশনার বিনীত গোয়েলের ইস্তফার দাবিতে লালবাজার অভিযান জুনিয়র ডাক্তারদের। স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থান।

১৪ সেপ্টেম্বর: সেই অবস্থান মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসেন।

১৬ সেপ্টেম্বর: বিনীত গোয়েলকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

৫ অক্টোবর: ধর্মতলায় কয়েকজন জুনিয়র ডাক্তার ‘আমরণ  অনশন’ শুরু করেন।

৭ অক্টোবর: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় চার্জশিট পেশ সিবিআইয়ের। মূল অভিযুক্ত হিসেবে সঞ্জয়কে চিহ্নিত করা হয়।

২১ অক্টোবর: আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মায়ের ‘কথায়’ জুনিয়র ডাক্তাররা ‘আমরণ অনশন’ প্রত্যাহার করে নেন।

৪ নভেম্বর: শিয়ালদা আদালতে সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়।

১১ নভেম্বর: শিয়ালদা আদালতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের মামলার বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়।

৯ জানুয়ারি, ২০২৫: বিচারপ্রক্রিয়া শেষ।

১৮ জানুয়ারি, ২০২৫: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের মামলার রায়দান।