লিলুয়াতে আমার ছোটবেলা কেটেছে। বেলুড় মঠের কাছাকাছি থাকতাম। ছোটবেলার পুজো একেবারে অন্যরকম ছিল। ঠাম্মা, দাদুর সঙ্গেই কেটে যেত পুজোর দিনগুলো। রিকশ করে ঠাম্মা, দাদুর কোলে বসে বেলুড় মঠের পুজো দেখতে যেতাম। কুমারী পুজো নিয়ে কৌতূহল ছিল। বেলুড় মঠে গিয়ে দেখতাম। বোধন, সন্ধিপুজো দেখতেও ভালো লাগত। কোনও একটা প্যান্ডেলে প্রসাদ খেলাম। অন্য প্যান্ডেলে গিয়ে আবার অঞ্জলি দিলাম। ওই আনন্দের ভাগ হবে না। আমাদের বাড়ির সামনেও একটা মঠের পুজো হতো। সেখানে যেতাম। সকালবেলা থেকে মাইক বাজত। অষ্টমীর অঞ্জলি, ঝাড়ি মারা, পুজোর বাংলা গান, ক্যাপ বন্দুক— ওই যে আমেজ, তা এখন একেবারেই নেই।
এখন পুজো ঘিরে থাকে পরিবার এবং বন্ধুরা। কাজের সুবাদে বেশ কিছু ঠাকুর দেখা হয়ে যায়। বাকি সময়টা কোনও বন্ধুর বাড়িতে আড্ডা, খাওয়াদাওয়ায় কাটে। পুজোর ভোগ খাই। ওই কয়েকদিন বাড়িতে বিভিন্ন রকম নিরামিষ রান্না হয়। পুজোর ছবি আমি সিনেমাহলে গিয়েই দেখি। মনে আছে ২০১৭-এ আমার ‘প্রজাপতি বিস্কুট’ পুজো রিলিজ ছিল। ২০২২-এ আমার দুটো ছবি পুজোতে রিলিজ হয়েছিল। পুজো রিলিজের আলাদা মজা। আর একটা মজার ঘটনা শেয়ার করি। ২০১৬ নাগাদ। প্রথম কাজ করছি তখন। ধারাবাহিকের টানা শ্যুটিংয়ের পর পুজোর সময় চারদিনের ছুটি ছিল। পুজোতে খাওয়াদাওয়া করে খানিক ওজন বেড়েছে। খালি চোখে ধরা না পড়লেও ক্যামেরায় ঠিক বোঝা যায়। দশমীর পর যখন শ্যুটিংয়ে গিয়েছি, পরিচালক বলেছিলেন ‘তোকে মোটা লাগছে।’ ক্যামেরা আসলে কখনও মিথ্যে বলে না।