টেকনোর উদ্যোগে দ্রোণাচার্য পুরস্কারে ভূষিত প্রধান শিক্ষকরা

কলকাতা রাজ্য শিক্ষা

দেবপম সরকার, বিধাননগর শিশু দিবস উপলক্ষে সল্টলেক সেক্টর ফাইভে টেকনো ইন্ডিয়া ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হল দ্রোণাচার্য আওয়ার্ড ২০২৪। ১৪ ও ১৫ নভেম্বর এই দু’দিন ধরে চলবে এই অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা মানসী রায়চৌধুরী ( কো-চেয়ারপার্সন টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ) জানান গত বছর তাঁরা ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ডের কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের সম্মানিত করেছিলেন, কিন্তু এবছর তাঁরা ১০০ জন প্রধান শিক্ষক ও ২৫ জন চিফ কো-অর্ডিনেটরদেরকে তাঁদের মূল্যবান সময়, ও শিক্ষা প্রদানের মহান ব্রতের জন্য এই দ্রোণাচার্য সম্মানে ভূষিত করা হল। একটি বিদ্যালয়ের সাফল্য সেই স্কুলের শিক্ষকদের ওপরেই নির্ভর করে। শিক্ষা গুরুদের কাছে প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীরা জ্ঞান অর্জন সমাজে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীদের প্রথম শিক্ষাগুরু হলেন তাদের বাবা মা। এর পাশাপাশি বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকাদের অবদান অনস্বীকার্য।

তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পড়াশোনার স্টাইল ও পদ্ধতি পাল্টাচ্ছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, বিভিন্ন নতুন নতুন টেকনোলজি, স্পোর্টস ম্যানেজমেন্টের মতোন অত্যাধুনিক বিষয় অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। আর প্রতিটি স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা তাঁদের ছাত্র-ছাত্রীদের কেমন পড়াচ্ছেন তা নজর ও গাইড করেন প্রধান শিক্ষক।

এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় (মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি), চিন্ময় সরকার(ডেপুটি ডিরেক্টর স্কুল শিক্ষা দফতর) অভিনেতা আবির চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। ১৫ নভেম্বর বাংলা থেকে প্রায় আড়াইশো জন টিচাররা আসবে তাঁদেরকেও সংবর্ধনা দেওয়া হবে। এই অনুষ্ঠানটি করার পেছনে আরেকটি উদ্দেশ্য হল, বাংলায় বিভিন্ন স্কুলের সঙ্গে টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের যোগাযোগ স্থাপন করা।যাতে বিভিন্ন স্কুল থেকে পাশ করা ছাত্রছাত্রীরা ভবিষ্যতে উচ্চশিক্ষা লাভ করার জন্য টেকনো ইন্ডিয়াতে ভর্তি হয়ে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে।

মানসী রায় চৌধুরী আরও জানান, ‘শিক্ষক ও পড়ুয়াদের মধ্যে আরও মধুর সম্পর্ক হওয়া উচিৎ। একজন শিক্ষক বা শিক্ষিকা তিনি হয়তো প্রচুর জ্ঞানী কিন্তু তিনি যখন পড়াচ্ছেন যে ছাত্র বা ছাত্রীকে পড়াচ্ছেন সেই ছাত্র-ছাত্রী তাঁর পড়ানোর পদ্ধতিটা ঠিক মতো গ্রহণ করতে পারছে না। অথচ সেই ছাত্র-ছাত্রীরা ভয়ে সেই শিক্ষক শিক্ষিকাদের কাছে পড়াশোনা করলেও তা বলতে পারছে না। এতে লাভের লাভ কিছুই হচ্ছে না। শিক্ষক বা শিক্ষিকাদের বোঝা উচিৎ তাঁরা যাদের পড়াচ্ছেন তাঁরা কিভাবে পড়ালে পড়ুয়ারা সেই জ্ঞানটা অর্জন করতে পারবে।আর এটা তখনই সম্ভব হবে যখন ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে শিক্ষক শিক্ষিকাদের যোগাযোগ বাড়বে। শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং ছাত্র-ছাত্রীদের ভেতরে মধুর সম্পর্কের বাতাবরণ অত্যন্ত জরুরি। এই ধরনের অ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে আমরা আগামী দিনে আরও ভালো ভালো শিক্ষক-শিক্ষিকা ও প্রধান শিক্ষকদের পাশে পাব এবং তাদের সম্মানিত করে আমরা নিজেরাই ধন্য হব।’