সেবার বিনিময়ে জুটলো কেবলই চোখের জল! বাধ্য হয়েই ঘেরাও চেয়ারম্যানকে

জেলা রাজনীতি রাজ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি, হুগলি: সেবার বিনিময়ে জুটলো কেবলই চোখের জল! বাধ্য হয়েই ঘেরাও চেয়ারম্যানকে।

একটা দু’টো দিন নয়, বেতন হয়নি পুরো দুই মাস, আর কিছুতেই চলছে না সংসার তাই বাধ্য হয়েই হাজির চেয়ারম্যানের দরবারে। সরকারের ভরসায় কাজে নেমেও মেলেনি প্রাপ্য টাকা। তাই এবার প্রাপ্য টাকার দাবিতে কাতর আর্জি বদলে গেল ক্ষোভে।

ঘটনাটি হুগলির চুঁচুড়া পুরসভার। চুঁচুড়ায় অস্থায়ী কর্মীদের বেতন অনিয়মিত হয়ে পড়েছে দীর্ঘদিন। বারবার জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি। তাই অগত্যা বেতনের জন্য এবার চেয়ারম্যানের কাছে দাবি জানাতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী। আজ সকাল থেকেই বিভিন্ন ওয়ার্ডে স্ট্রিট লাইট জ্বালাতে দেখা গেলেও কে বা কারা কোন উদ্দেশ্যে এ কাজ করেছেন তা স্পষ্ট ছিল না। অবশেষে বেলা গড়ালে আজ পুরসভায় বকেয়া বেতনের দাবিতে ঝড় তোলেন মহিলা স্বাস্থ্য কর্মীরা। বেতন না নিয়ে কিছুতেই বাড়ি ফিরবেন না এমনটাই বলতে থাকেন তাঁরা।

এ বিষয়ে অস্থায়ী গার্ড শেখ তাজউদ্দিন বলেন, ‘আগে আমরা ৮ তারিখে বেতন পেতাম, এখন দু’মাস বাকি আছে, কাজ করছি। কিন্তু বেতন পাচ্ছি না। কি করে চলবে? চেয়ারম্যান বসে আছে কিছুই বলছেন না’

একাধিক স্বাস্থ্যকর্মীরাই এদিন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে হাত গুটিয়ে বসে থাকার অভিযোগ আনতে থাকেন। দাবি মানা না হলে, বেতন না পেলে আগামীকাল থেকে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা। ধর্মঘটে যাওয়ার হুঁশিয়ারি পাম্প অপারেটারদেরও। এখন আশঙ্কা তাহলে কী জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে? নাকি সময়ের আগেই এবার সকলেই পেয়ে যাবে বেতন এটা এখন শুধুমাত্রই সময়ের অপেক্ষা।

এ বিষয়ে অবশ্য চেয়ারম্যানের তরফ থেকেও মেলে পাল্টা অভিযোগ। চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারের গোষ্ঠীর কাউন্সিলরদের থেকে লাগাতার অসহযোগিতার অভিযোগ আনেন তিনি। তবে এরই মধ্যে হয়তো বদল হতে পারে চেয়ারম্যানের পদ, আপাতত সেদিকেই নজর সকলের।