ফের বিপাকে রাজ কুন্দ্রা, শিল্পা শেট্টির বাড়িতে ED-র তল্লাশি

অপরাধ দেশ বিনোদন

নিউজ পোল ব্যুরো, মুম্বই: পর্ন কাণ্ডের পর এবার বিটকয়েনের মাধ্যমে ১৫০ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে ফের নতুন করে বিপাকে শিল্পা শেট্টি ও তাঁর স্বামী রাজ কুন্দ্রা। শুক্রবার সকাল থেকেই চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তদন্তকারী আধিকারিকরা। এদিনের তল্লেশিতে বাদ যায়নি রাজ কুন্দ্রা-সহ সংশ্লিষ্ট মামলায় জড়িত বাকিদের বাসস্থানও। ‘হটশটস’ নামে এক প্রাপ্তবয়স্কদের অ্যাপ খোলার জন্য বছর কয়েক আগেই হাজতবাস হয়েছিল রাজের। সেই সময় দু’মাস জেলে থাকার পর জামিন পেয়ে সেই স্মৃতিকে ভুলে যখন ফের স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করছেন রাজ-শিল্পা। তখনই আবার তাঁদের দুয়ারে ইডি!

প্রসঙ্গত, আইপিএল বেটিং, নীলছবি মামলায় রাজ কুন্দ্রার নাম উঠেছিল। এবার ৬ হাজার ৬০০ কোটি টাকার বিটকয়েন পঞ্জি স্ক্যামের আর্থিক তছরুপ মামলাতেও জড়িয়েছে রাজ কুন্দ্রার নাম। যার ফলে স্থাবর-অস্থাবর সব মিলিয়ে রাজ-শিল্পার প্রায় প্রায় ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এর মধ্যে জুহুর সমুদ্রমুখী বিলাসবহুল বাংলোও যা অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টির নামে কেনা। পুনেতে তারকা দম্পতির প্রাসাদোপম বাংলোও রয়েছে। রয়েছে তাঁদের নামের কিছু ইক্যুয়িটি শেয়ার।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি মহারাষ্ট্র ও দিল্লি পুলিশের কাছে ভ্যারিয়েবল টেক প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সংস্থার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে। অমিত ভরদ্বাজ, বিবেক ভরদ্বাজ, সিম্পি ভরদ্বাজ, মহেন্দ্র ভরদ্বাজ-সহ আরও বেশ কয়েক জনের নাম উঠে আসে অভিযুক্ত হিসেবে। যাদের বিরুদ্ধে মূলত অভিযোগ, বিটকয়েনে বিনিয়োগের নামে কোটি কোটি টাকা তুলেছেন অভিযুক্তরা। শুধুমাত্র ২০১৭ সালেই তাঁরা ৬,৬০০ কোটি টাকা তুলেছে বলে জানা গেছে। যাঁদের থেকে এই টাকা তোলা হয়, তাঁদের প্রতি মাসে বিটকয়েনে ১০ শতাংশ টাকা রিটার্ন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা পূরণ করা হয়নি। এভাবে বাজার থেকে টাকা তুলে ওই সংস্থা সকলকে প্রতারিত করায় একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলার তদন্তে নেমে রাজের সঙ্গে ওই সংস্থার সংযোগ খুঁজে পায় ইডি। জানা যায়, অমিতের থেকে ২৮৫টি বিটকয়েন পেয়েছিলেন রাজ।

অপরদিকে, ইডি সূত্রে খবর, গোটা দুর্নীতি চক্রের মাথা ছিলেন অমিত। নিরীহ মানুষকে টোপ দিয়ে কোটি কোটি টাকা আদায় করেছিলেন তিনি। সেই বিটকয়েনই পরে রাজের কাছে যায়, বর্তমানে যার বাজারদর প্রায় ১৫০ কোটি টাকা। সেই প্রেক্ষিতেই রাজের ৯৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।