নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আজ বিধানসভায় নবনির্বাচিত ৬ বিধায়কের শপথগ্রহণ পর্ব শান্তিতেই মিটেছে। মন্তব্য রেখেছেন অনেকেই। সব বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে বিধানসভায় শপথ বাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল। বিধানসভায় আলোচনার মধ্যে ছিল বাংলাদেশ-ইসকন। বাংলাদেশী হিন্দু সন্ন্যাসীদের ওপর অত্যাচার নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলেন,’অন্যদেশের ব্যাপারে আমি হস্তক্ষেপ করবো না।ওটা কেন্দ্রের বিষয়।আমি কেন্দ্রের কথাই শুনবো সেই পথে চলবো।’ তিনি বলেন, ‘বাংলায় হিন্দুরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। মুসলিমরা সংখ্যালঘু বা মাইনরিটি।বাংলা ভাষা পৃথীবিতে পঞ্চম এবংএশিয়াতে দ্বিতীয় বৃহত্তম। বেলুড়কে স্যালুট জানাই ও তাদের মহত্ব দেখে মনে হয়েছিল হিন্দু ধর্ম অনেক মহৎ। তবে অনেক মুসলিম আছেন, যারা দুর্গাপুজো করেন। সব রকমের অধিকার আছে তাঁদের ধর্ম পালন করার। বলবেন না আমি কোনো নিদিষ্ট ধর্মকে সমর্থন করি। পারবেন তপশিলি, ট্রাইবালদের, খ্রিষ্টানদের,পঞ্জাবিদের ধর্মীয় রীতিনীতি আটকাতে? কেন কেবল মাত্র মুসলিমদের ধরছেন। তাই ভেদাভেদ ভুলে উচিত শোষিত বঞ্চিতদের রক্ষা করতে শিক্ষার আলোক জ্বেলে সকলেই এগিয়ে আসুন।’
বিজেপি বিধায়কদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি যখন বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলছিলাম, তখন আপনারা চিৎকার করে বেরিয়ে গেলেন কেন? যান না দিল্লিতে গিয়ে বলুন। এখানে কেন ঝামেলা করছেন ? বাংলাদেশে হিন্দুদের জনসংখ্যা কমেছে সেটা তো আমাদের দায়িত্ব নয়।’ মমতা এদিন প্রস্তাব দেন, প্রয়োজনে রাষ্ট্রপুঞ্জে কথা বলুক ভারত, যাতে বাংলাদেশে শান্তিরক্ষা বাহিনী #Peacekeepers পাঠানো যায়।
সামনেই আসছে গঙ্গাসাগর মেলা, সেই প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী বলে, ‘সাগর মেলা থেকে আমাদের কোনও টাকা দেওয়া হয় না, গঙ্গাসাগর এর টাকা ইউপিতে চলে যায়। তিনি এদিন নাম না করেই কটাক্ষ করে বলেন, নির্বাচনে অনেকেই আসেন মালা দিতে। স্বামীজীর বাড়ি যখন বিক্রি হচ্ছিল তখন কোথায় ছিল? রাতারাতি পুরসভা তা কিনে না নিলে তা হয়তো বিক্রি হয়ে যেতো। বিবেকানন্দের বাড়ি, দার্জিলিংয়ে সিস্টার নিবেদিতার বাড়ি আমরা অধিগ্রহন করে সাজিয়ে তুলেছি। আমরা সর্ব ধর্মের সমন্বয়ের কথাই বলি। কারণ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে শুরু করে কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের সেই শিক্ষাই দিয়ে গেছেন।