নিউজ পোল ব্যুরো, কোচবিহার: কোচবিহারকে পৃথক রাজ্য ঘোষণার দাবিতে বুধবার সকালে রেল রোকো আন্দোলনে সামিল হয় গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। এদিন ভোরে সংগঠনের নেতা বংশী মদনের নেতৃত্বে অসম-বাংলা সীমানার জোড়াই স্টেশনে বসে পড়েন কর্মী সমর্থকেরা। ফলে উত্তরবঙ্গের চার জেলার সঙ্গে যোগাযোগকারী একের পর এক ট্রেন আটকে পড়ে। সমস্যায় পড়ে যান নিত্যযাত্রী থেকে অন্যরাও। এমনকি এই রেল রোকো আন্দোলনের জেরে আটকে পড়েছে বন্দেভারতও। ফলে সমস্যার মুখে পড়েছেন রেল যাত্রীরা। এর জেরে কোচবিহার, জলপাইগুড়ির, নিউ জলপাইগুড়ি- সহ একাধিক স্টেশনে আটকে পড়ে বহু দূরপাল্লার ট্রেন। অবরোধের জেরে চারটি ট্রেন বাতিল করেছে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেল। ঘুর পথে চালানো হচ্ছে আরও চারটি ট্রেন। সব মিলিয়ে প্রবল ভোগান্তির শিকার যাত্রীরা। তাঁদের কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন স্টেশনে হেল্প ডেস্ক খোলা হয়েছে। অবরোধকারীদের সাফ কথা, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই রেল রোকো আন্দোলন চলবে।
উল্লেখ্য, গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের দীর্ঘদিনের দাবি, কোচবিহারকে পৃথক রাজ্যের মর্যাদা দিতে হবে। সেই ইস্যুতেই নতুন করে উত্তাল হয়ে উঠেছে উত্তরবঙ্গের একাংশ। রেল সূত্রে খবর, বাতিল করা হয়েছে আপ ও ডাউন গুয়াহাটি-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দেভারত এক্সপ্রেস, আপ-ডাউন বঙ্গাইগাঁও-নিউ জলপাইগুড়ি এক্সপ্রেস। অন্যদিকে ফকিরাগ্রাম, গোলকগঞ্জ, নিউ কোচবিহার ভায়া আলিপুরদুয়ার জংশন হয়ে চালানো হচ্ছে আরও চারটি ট্রেন। এর মধ্যে ডিব্রুগর-নিউ দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস, অরুণাচল এক্সপ্রেস, গুয়াহাটি নিউ দিল্লি এক্সপ্রেসকে ফকিরাগ্রাম, গোলক গঞ্জ ও নিউকোচবিহার রুটে চালানো হচ্ছে। কামাখ্যা রাজেন্দ্রনগর এক্সপ্রেসকে ফকিরাগ্রাম, গোলকগঞ্জ, নিউ কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জংশন হয়ে চালানো হচ্ছে।