নিউজ পোল ব্যুরো, কাঁথি: পূর্ব মেদিনীপুরের অধিকারী গড়ে ফের ধস নামল বিজেপির। দু’টি নির্বাচনে পরাজিত হল বিজেপি। হাসি ফুটলো ঘাসফুল শিবিরে।
ভগবানপুরের ১ ব্লকের শটুপুর কৃষি উন্নয়ন সমিতি এবং এগরার জুমকি সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে শুক্রবার বিজেপির প্রার্থীরা পরাজিত হয়। জয়ী হয় তৃণমূল। জুমকি গ্রাম পঞ্চায়েত এতদিন ছিল বিজেপির দখলে। এই পঞ্চায়েত গড়ে উঠেছে জুমকি, মানিকদীঘি, বিশ্বনাথপুর, শিমুলিয়া গ্রামকে ঘিরে। ১২টি আসনের সমবায় সমিতির ভোটারের সংখ্যা ৫৮০জন। ভোট পড়েছে ৫২৬টি। সব কটি আসনে জয়ী হয়ে সমবায়ের বোর্ডটি তৃণমূলের দখলে চলে যায়।
উল্লেখ্য, জুমকি সমবায় সমিতির কাছে ছিল মোট ১২ টি আসন, প্রত্যেকটি আসনই তৃণমূল শিবিরের দখলে চলে আসায় সমবায়টির দখল এখন তৃণমূল শিবিরের হাতে। শাসকদল দাবি করেছে, বিজেপির চরম সাংগঠনিক দুর্বলতা রয়েছে। আর এই দুর্বলতার কথা প্রমাণিত হয়েছে ফলাফলের দিনেই। কিন্তু বিজেপি দাবি করেছে কি কারণে এমন ফলাফল হয়েছে সে বিষয় অবশ্যই খোঁজ নেওয়া বিজেপি কে কটাক্ষ করে স্থানীয় তৃণমূল নেতা ইন্দুভূষণ প্রধান বলেন, ‘বিজেপির সঙ্গে যে সাধারণ মানুষের কোনও যোগাযোগ নেই, তা আজকের সমবায়ের ফলাফলেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। এর থেকে পরিষ্কার বিজেপি কেবলমাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভরসাতেই টিকে আছে। ভোটে লড়াই করার ক্ষমতা ওদের নেই।’
বিজেপির এগরা ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা তাপস দে বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণভাবে স্থানীয় নেতৃত্বের দেখার বিষয়। তবে ঠিক কোন কারণে এমন ফলাফল হল, তা খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।’
পাশাপাশি ভগবানপুর ১ নম্বর ব্লকের শটুপুর কৃষি উন্নয়ন সমিতির কমিটির ভোট হয় ১২টি আসনে। মোট ভোটারের সংখ্যা ছিল ৫৭১টি। ফল ঘোষণা হওয়ার পর দেখা যায় ৯টি আসনে জয়লাভ করেছে ঘাসফুল শিবির। বাকি ৩টি আসনে জয়ী হয়েছেন জোট প্রার্থীরা। পাশাপাশি অভিযোগ উঠছে গেরুয়া শিবির ও সিপিআইএম তৃণমূল শিবিরকে পরাজিত করার জন্য গোপন পরামর্শ করে। এর ফলে তৃণমূলের সঙ্গে তাদের লড়াই হয়।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই কাঁথির অপারেটিভ ব্যাঙ্কের নির্বাচনে জয়ী হয় ঘাসফুল শিবির। একসময় এই ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। দল বদলের পর তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয় চেয়ারম্যানের পদ থেকে। এর পরেই শুরু হয় অচলাবস্থা। যা ফিয়ে পৌঁছয় দেশের শীর্ষ আদালতের কাছে। আদালতের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে সমবায় ব্যাঙ্কের ভোট নেওয়া হয়। সেই ভোটে পরাজিত হয় বিজেপি। এই বিষয় নিয়ে বিজেপি যে চিন্তিত এমনটাই দাবি করছে রাজনৈতিক মহল। ভগবানপুর ১ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি রবীনচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘সিপিআইএম বিজেপি সম্মিলিতভাবে তৃণমূলকে পরাজিত করার লড়াইয়ে নেমেছিল। কিন্তু মানুষ উত্তর দিয়েছেন। কারণ, বাংলার মানুষ উন্নয়নের পাশে রয়েছে বলেই বারবার তৃণমূলকে সমর্থন করে বার্তা দিয়েছেন।’