নিউজ পোল ব্যুরো : শেষপর্যন্ত গ্রেফতার করা হল অভিনেতা সইফ আলী খানের ওপর হামলাকারী ব্যক্তিকে। শুক্রবার সকালে মুম্বই পুলিশ গ্রেফতার করে সইফের উপর হামলা চালানো ব্যক্তিকে। হামলার কয়েক ঘন্টা পর টানা তল্লাশি চালিয়ে আততায়ীকে ধরল পুলিশ। সইফের উপর হামলা চালানোর পর মুম্বই পুলিশের দমন শাখার এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট দয়া নায়েকের ওপর তদন্তের ভার পরে। দয়া নায়েকের নেতৃত্বাধীন গোটা টিম বৃহস্পতিবার বান্দ্রায় সইফের বাড়িতে পৌঁছে যায়। কয়েক ঘন্টা টানা তল্লাশির পর গ্রেফতার করা হয় আততায়ীকে। মুম্বই পুলিশ ধৃতকে বান্দ্রা থানায় নিয়ে যায়। ওখানেই তাকে জেরা করা হবে বলে সূত্রের খবর।
সইফের বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজের একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি রাট ২:৩৩ মিনিটে সইফ আলী খানের বাড়ির সিঁড়ি দিয়ে নামছেন চোরের মতো। সেই সময় সে সিসিটিভি ফুটেজের দিকেও তাকায়। সেই ব্যক্তির পরনে ছিল কালো টি-শার্ট, জিন্স ও গলায় জমছে বা তোয়ালে জাতীয় কিছু ঝুলছিলো। কাঁধে ছিল একটা ব্যাগ। আর তাতেই বুঝতে অসুবিধা হয়নি এই ব্যাক্তি হামলাকারী দুষ্কৃতী।
পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, আততায়ী সইফের ঘরে নয় তাঁর ছোট ছেলে জেহর ঘরে ঢুকেছিল। সেইসময় পরিচারিকা দেখে ফেলেন। চিৎকার করতেই তাঁকে ইশারায় চুপ করতে বলে হামলাকারী। সে ১ কোটি টাকা দাবি করে। পরিচারিকা তাকে বাধা দিলে সে পরিচারিকাকে ছুরির কোপ মারে। সেইসময় করিনা ও দুই ছেলের সঙ্গে বাড়িতেই ছিলেন সইফ। চিৎকার শুনে তিনি বাইরে বেরিয়ে আসেন। তিনি হামলাকারীকে বাধা দিতে যান, সেই সময় সে সইফের উপর ঝাঁপিয়ে পরে। ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ মারতে থাকে। হামলার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় অভিযুক্ত নিজের পোশাক বদলে নেয়। আজ ভোরে লোকাল ট্রেন ধরে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তার আগে পুলিশ ধরে ফেলে অভিযুক্তকে।
হামলাকারীর ছুরির আঘাতে গুরুতর চোট পান অভিনেতা। তাঁকে দ্রুত লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যায় তাঁর বড়ো ছেলে ইব্রাহিম। সেই মুহূর্তে ইব্রাহিম নিজেদের গাড়ির খোঁজ করলেও একটাও গাড়ি মেলেনি। ড্রাইভারদের ডেকে হাসপাতালে যেতে অনেক সময় লেগে যেত। সেই কারণে বাড়ি থেকে ২ কিমি দূরে লীলাবতী হাসপাতালে ইব্রাহিম বাবাকে অটো করেই নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন এখন তিনি বিপদমুক্ত।