নিউজ পোল ব্যুরো: তামিলনাড়ুতে ঐতিহ্যবাহী ষাঁড় দমন প্রতিযোগিতা জাল্লিকাট্টু- তে এ বছর সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৪০০ জনেরও বেশি। পাশাপাশি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দু’টি ষাঁড়েরও মৃত্যু হয়েছে। জাল্লিকাট্টু তামিল সংস্কৃতির এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি মূলত একটি প্রাচীন খেলা, যেখানে ষাঁড়কে খোলা ময়দানে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং প্রতিযোগীরা তাদের নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। এটি সাধারণত পোঙ্গল উৎসবের সময় আয়োজিত হয়। শক্তি, সাহস ও কৌশলের পরীক্ষা এই খেলার মূল উদ্দেশ্য। তবে, প্রতিযোগিতাটি প্রায়শই প্রাণহানির মতো মর্মান্তিক ঘটনায় পরিণত হয়।
মাদুরাইয়ের আলাঙ্গানাল্লুড়ে জাল্লিকাট্টু চলাকালীন ষাঁড়ের গুঁতোয় এক দর্শক গুরুতর আহত হন।এরপরই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কিন্তু শেষরক্ষা হয় না। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে জানান। শিবগঙ্গা জেলায় আরও এক দর্শক ও এক ষাঁড়ের মালিকের মৃত্যু হয়েছে। সেখানে একটি ষাঁড়েরও মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, কারুর এলাকায় ৬৬ বছর বয়সি এক দর্শক ষাঁড়ের গুঁতোয় বুকে গুরুতর আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। সূত্রের খবর, পুডুকোট্টাই জেলা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আরও তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। মাদুরাইয়ের জাল্লিকাট্টু দেখতে আসা প্রায় ৭০ জন দর্শক আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা সঙ্কটজনক। পুডুকোট্টাই জেলায় প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া দশ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। একই জেলার অন্য একটি জায়গায় আরও ১৯ জন আহত হন বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
জাল্লিকাট্টু খেলার ঐতিহ্য শতাব্দী প্রাচীন হলেও এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এমন অনেক দুঃখজনক ঘটনা। প্রতিযোগিতা দেখতে আসা দর্শক এবং অংশগ্রহণকারীদের জন্য পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিবারই প্রাণহানির খবর সামনে আসে। তবু তামিল সংস্কৃতির এই ঐতিহ্যবাহী খেলা স্থানীয় মানুষদের আবেগের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। প্রশাসন এবং আয়োজকদের তরফে আরও সুরক্ষামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন, যাতে ভবিষ্যতে এমন মর্মান্তিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়ানো যায়।