নিজস্ব প্রতিনিধি,হুগলি: হুগলির (Hooghly) বলাগড় ব্লকের অন্যতম জনপ্রিয় এবং ঐতিহ্যবাহী উৎসব লালন উৎসব। যা স্থানীয় মানুষের কাছে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এই উৎসব প্রতি বছর জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে অনুষ্ঠিত হয় এবং এটি শুধু বলাগড়ের নয়, বরং সারা বাংলা ও বাংলাদেশের শিল্পীদের মিলনমেলা হয়ে ওঠে। এবছর, ২৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত হুগলির (Hooghly) জিরাট কলোনি হাইস্কুল মাঠে সপ্তম বর্ষের লালন উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
Blood Pressure: রান্নাঘরের মশলা আপনার রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে!
এই উৎসবের মূল আকর্ষণ হল বাংলার ঐতিহ্যবাহী লোকসংগীত, যা বাউল, ফকিরী, ঝুমুর, ভাওয়াইয়া এবং ভাটিয়ালি গানের সুরে মেতে ওঠে উপস্থিত দর্শকরা।
https://www.youtube.com/@newspolebangla

প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যেমন পুরুলিয়া, বীরভূম, নদিয়া, এবং উত্তরবঙ্গের শিল্পীরা এখানে অংশগ্রহণ করেন, তেমনি বাংলাদেশ থেকেও লালন আখরা এবং অন্যান্য স্থান থেকে শিল্পীরা আসেন। তবে এবছর বাংলাদেশের পরিস্থিতির কারণে সেই শিল্পীরা অংশ নিতে পারেননি।https://www.facebook.com/share/v/19GDUDSfiq/

উৎসবের মঞ্চে বিভিন্ন খ্যাতমান লোকশিল্পীরা উপস্থিত থাকেন, যেমন তীর্থ বিশ্বাস, নূর আলম, সুবল দাস বাউল, নাফিসা খাতুন, মানিক দাস বাউল, পবিত্র দাস বাউল, অর্জুন খ্যাপা, মুকুল খ্যাপা, আরতী দাস বাউল, বিপদভঞ্জন মালাকার প্রমুখ। এই শিল্পীরা তাঁদের সঙ্গীতের মাধ্যমে উৎসবের পরিবেশকে আরও আনন্দমুখর করে তোলেন।

এছাড়া, উৎসবের এক বিশেষ আকর্ষণ হল হস্তশিল্পের বাজার। এখানে শান্তিনিকেতন সহ বিভিন্ন জায়গার হস্তশিল্পীরা তাঁদের তৈরি জামাকাপড়, গয়না, বাদ্যযন্ত্র, ফুল এবং অন্যান্য হাতে তৈরি সামগ্রী নিয়ে উপস্থিত হন। উৎসবের পরিবেশ যেন এক মিলনমেলা, যেখানে সঙ্গীত, সংস্কৃতি, এবং শিল্পের এক নতুন রূপ দেখা যায়।
অন্যদিকে হুগলী জেলার পোলবার বহ্নুৎসব সম্প্রীতির অনন্য বার্তা দিলো। লালন ফকির লিখেছেন “অন্তরে যার সদাই সহজ রূপ জাগে। নাম বলুক না বলুক মুখে। যার কীর্তিকে সংসার। নামের অন্ত নাই কিছু তার, বলুক যে নাম ইচ্ছে হয় যার, বলে যদি রূপ দেখে।” হুগলীর পোলবা ব্লকের জাড়ুড়া গ্রামের মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মাধ্যমে লালনের সেই আদর্শকেই পূর্ণ রূপ দিলেন। প্রতিবছরের মতো এইবছরেও বৃহস্পতিবার সুগন্ধ্যার জারুড়া গ্রামে এই বহ্ন্যুৎসব আয়োজিত হয়েছিলো।