নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা : ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অন্যতম স্মৃতিচিহ্ন হল আলিপুর কেন্দ্রীয় কারাগার (Alipore Jail) । ব্রিটিশ শাসনকালে এই জেলখানাটি বহু স্বাধীনতা সংগ্রামীকে বন্দি রাখার জন্য ব্যবহৃত হত, এমনকি অনেক বিপ্লবীকে এখানেই ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। ভারতের দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এই জেল এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে রেখেছে। বৃহস্পতিবার জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর ৭৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলিপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে (Alipore Jail) শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন পশ্চিমবঙ্গের পৌর ও নগর উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী এবং কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
শুধু গান্ধীজিকেই নয়, এদিন শহীদ বেদীতে মাল্যদান করে অন্যান্য স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতিও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ‘মহাত্মা গান্ধী আমাদের অহিংসার পথ দেখিয়েছেন। তাঁর শিক্ষা আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। আমরা তাঁর আদর্শকে সামনে রেখেই এগিয়ে চলব।’ মেয়র ফিরহাদ হাকিম এদিন বলেন, ‘ঘৃণার রাজনীতি বাংলায় চলবে না। আমরা সবাই মিলেমিশে একসঙ্গে থাকব। মহাত্মা গান্ধী ধর্মনিরপেক্ষতার জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন, কিন্তু আজকের দিনে বিভেদের রাজনীতি মাথাচাড়া দিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ দুঃখের বিষয়, এমন একটি সরকার কেন্দ্রে রয়েছে যাঁরা মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরি করছে। কিন্তু আমরা বাংলার মাটি থেকে বিভেদের রাজনীতি কখনও সফল হতে দেব না। আমরা যদি রক্ত দিয়েও এই অভিসন্ধি প্রতিহত করতে হয়, তাহলে তাও করব।’ মেয়র জানান, গান্ধীজির দেখানো অহিংসা ও সত্যাগ্রহের পথ অনুসরণ করেই এগিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন, ‘গান্ধীজি আমাদের শিখিয়েছেন কীভাবে সম্প্রীতি বজায় রাখতে হয়। আমাদের মধ্যে কোন ভেদাভেদ নেই, আমরা সবাই একসঙ্গে থাকব এবং বাংলার ধর্মনিরপেক্ষতার ঐতিহ্য রক্ষা করব।’
মহাত্মা গান্ধীর আদর্শকে সামনে রেখে রাজনৈতিকভাবে দেশকে ঐক্যবদ্ধ রাখা এবং বিভাজনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর বার্তা দেন ফিরহাদ হাকিম। আলিপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের মতো ঐতিহাসিক স্থানে দাঁড়িয়ে এই বার্তা দেওয়া যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। গান্ধীজির দেখানো পথ অনুসরণ করেই এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।