নিউজ পোল ব্যুরোঃ আচমকা কাছ থেকে উধাও বিচারপতির ফোন, একটি নয়! তাও আবার দুটি। বিয়েবাড়িতে হুলুস্থূল কান্ড। বাকি সবার মতই বিয়ে বাড়িতে খুশি মেজাজে এসেছিলেন তিনিও, কিন্তু সেখানেও নেই স্বস্তি। আদালতের মতোই খুঁজে বেড়াতে হলো অপরাধীকে। শেষমেষ খুঁজে না পাওয়ায় হয়রানির শিকার হলেন বিচারপতি।
বর্তমানে গুজরাত উচ্চ আদালতের মুখ্য বিচারপতি সুনিতা আগারওয়াল। সম্প্রতি দেরাদুনে একটি বিয়ে বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই আচমকা খেয়াল করেন উধাও নিজের দু-দুটি আইফোন। ঘটনার পরে রাতপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি নিজেই। দেরাদুনের মুসৌরি রোডে ফুটহিল গার্ডেনে একটি বিয়ের নিমন্ত্রণে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি সুনীতা আগরওয়াল। বিয়েবাড়িতে গিয়ে ফোন চুরি তাও আবার খোদ বিচারপতির, ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা চত্বরে। বিকেল ৪ টা ৪৫ থেকে ৫টা ১৫-র মধ্যেই ঘটেছে এই ঘটনা।
চুরি হওয়া দুটি আইফোনের মধ্যে একটি বিচারপতির নিজের নামে রেজিস্টার করা এবং অন্যটি গুজরাত উচ্চ আদালতের রেজিস্ট্রার জেনারেলের আইফোন ছিল। দুটি মোবাইলেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকায় সেই মোবাইল চুরিতে চিন্তিত বিচারপতি আগারওয়াল। দেরাদুনের মুসৌরি রোডে ফুটহিল গার্ডেনে একটি বিয়ের নিমন্ত্রণে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি সুনীতা এই বিষয়ে আমেদাবাদের রেজিস্ট্রার জানান, এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি ওই দুটি ফোন। অদ্ভুত বিষয়ে বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত কাউকেই সন্দেহজনক অবস্থায় ব্যাখ্যা করেননি বিচারপতি।
স্থানীয় পুলিশ তল্লাশি করেও এখনও পর্যন্ত খোঁজ দিতে পারেননি ফোন দুটির। তাঁরা বলেন, ‘আমি অনুরোধ করছি যাতে এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয় এবং মাননীয় বিচারপতির ফোন উদ্ধারের যা যা করা দরকার তাই পদক্ষেপ করা হয়। এই তদন্তে আমি সম্পূর্ণরূপে সহায়তা করতে রাজি আছি।’ বিচারপতির অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় সংবিধানের ৩০৩ (২) ধারা অনুসারে ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট বা এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের কাছে ফোন দুটি সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য দিয়েছেন বিচারপতি। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য দিয়েছেন দুটি ফোন নম্বরও। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যাতে মোবাইল দুটি উদ্ধার হয়, সে বিষয়ে কড়া তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে বারে বারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে সেদিনের বিয়ে বাড়ির ফুটেজ। সিসিটিভি যাচাই করা হচ্ছে পুলিশের তরফ থেকে।