নিজস্ব প্রতিনিধি,কলকাতাঃ আজ,সোমবার ভাগ্য নির্ধারণ হতে চলেছে ২৬ হাজার চাকরিপ্রার্থীর। ফের বসতে হবে পরীক্ষায়? নাকি এরপরেই মিটবে এতদিনের সমস্যা? রাজ্য জুড়ে চাকরিপ্রার্থীদের হতাশার অবসান করতেই মামলার শেষ শুনানি। গত ২৭ জানুয়ারি শুনানিতে প্রধান বিচারপতি জানিয়েছিলেন আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি এই মামলার শুনানি শেষ করা হবে আদালতের তরফ থেকে।
সোমবার রাজ্য সরকার ও এসএসসি-র বক্তব্য শুনবেন প্রধান বিচারপতি। এর আগেও পুরো প্যানেল বাতিলের ইঙ্গিত দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট(Supreme Court)। যেহেতু যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থীদের আলাদা করা যায়নি,তাই সেবার শেষমেষ এমন ইঙ্গিত দেন বিচারপতি। তবে এবার? ঠিক কি হতে চলেছে তা নিয়ে উত্তেজনা এখন তুঙ্গে।
২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর কি পাবেন তাদের যোগ্য স্থান? নাকি চোখের জলেই ভাসবে মেধা সবটাই এখন সময়ের অপেক্ষা। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে হবে সোমবার অর্থাৎ আজই সুপ্রিম কোর্টে শুনানি। দ্বিতীয় রাউন্ডে দুপুর ২টায় শুনানি শুরু হওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
তবে কি ফের পরীক্ষা? সেবিষয়েও উঠে এসেছে তথ্য। এই মামলার শুনানিতে মূল মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ফের পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন আগেই। সে সময় তিনি প্রস্তাব দেন যোগ্য অযোগ্যদের চিনে নিতে ফের একবার পরীক্ষা নেওয়ার জন্য। তাঁর আবেদন অনুযায়ী,’২০১৬ সালে পরীক্ষায় যাঁরা বসেছিলেন, তাঁদের ফের পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হোক। বয়সের ঊর্ধ্বসীমা পেরিয়ে গিয়ে থাকলেও তাঁদের পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হোক। নিজের প্রস্তাবের পক্ষে সওয়াল করে তাঁর দাবি, যোগ্য ও অযোগ্যদের পৃথক করা অসম্ভব’।
সে সময় বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের এই প্রস্তাবেরও বিরোধিতা করতে দেখা যায় কলকাতার ওয়াই চ্যানেলে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। অনেকেরই মতে দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা চাকরি করছেন কেবলমাত্র সরকারের ব্যর্থতার জন্য আবার কেনো পরীক্ষায় বসবেন তাঁরা? পরীক্ষায় বসানো অমানবিক বলে হুংকার দেন তাঁরা। তাই গত ২৭ জানুয়ারির শুনানিতে প্রধান বিচারপতি জানিয়েছিলেন, সমস্তটা বিবেচনা করে ১০ ফেব্রুয়ারি এই মামলার শুনানি শেষ করবেন। সেইমতোই আজ সোমবার সরকার ও এসএসসি-র বক্তব্য শুনবেন প্রধান বিচারপতি। আর মাত্র কিছুক্ষণ পরেই সুপ্রিম কোর্টে(Supreme Court) রয়েছে শুনানি, নজর এখন সেদিকেই।