নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা:- পেঁয়াজের যোগান বাড়াতে রাজ্য সরকার বিভিন্ন জেলায় ২৫ টন সংরক্ষণ ক্ষমতাসম্পন্ন পেঁয়াজ গোলা তৈরি করছে l এই কেন্দ্রগুলি গড়ে তোলার জন্য কৃষি সমবায় গুলিকে ভর্তুকিও দেয়া হবে। রাজ্যে বর্তমানে প্রতিটি ছয় থেকে নয় ম্যাট্রিক টন মজুদ ক্ষমতা সম্পন্ন প্রায় ৪ হাজার পেঁয়াজ গোলা রয়েছে।কৃষি বিপণন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে মোট ৯১৭টি পেঁয়াজ সংরক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য ছকোটি টাকা ভর্তুকি ধার্য করা হয়েছে। এর মধ্যে মালদা জেলায় ৫৭ টি মুর্শিদাবাদে ১১৩ টি, নদিয়া ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ১২৪ টি করে, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৩৭ টি হুগলিতে ১১৪ টি পূর্ব বর্ধমানের ১১৩ টি ,বীরভূম ও বাঁকুড়ায় ৭৯ টি করে এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ৭৭ টি পেঁয়াজ সংরক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। এই কেন্দ্রগুলিতে চাষিরা স্বল্প মূল্যে নিজেদের উৎপাদিত পেঁয়াজ সংরক্ষণ করার সুযোগ পাবেন। এর ফলে লক্ষাধিক মেট্রিক টন পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে বলে কৃষি বিপণন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্ন জানিয়েছেন, হাওড়া, হুগলি, নদীয়া সহ সাতটি জায়গায় পেঁয়াজ গোলা তৈরী হবে। সেই সঙ্গে পেঁয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্যও রাজ্য সরকার সচেষ্ট। মন্ত্রী আরো বলেন, রাজ্যে এই মুহূর্তে ৬৪৬টি সুফল বাংলা বিপণি কেন্দ্র চালু আছে। এর মধ্যে স্থায়ী ৮২টি এবং অস্থায়ী ৪৫৮টি। কয়েকদিন আগে বাজারে আলুর দাম যখন অনেকটা বেড়ে গিয়েছিল, তখন হাওড়া, হুগলি, কলকাতা সহ সংলগ্ন অঞ্চলে ১০৬টি অতিরিক্ত অস্থায়ী বিপণি খোলা হয়েছিল। কিছু ভ্রাম্যমান বিপণিও চালু আছে। আরও ৫০টি গাড়ি কেনা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, রাজ্যে ২০টি ফল-সব্জি কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে, যেখানে টমেটো পিউরি তৈরি করা হবে। মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে কৃষকদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও প্রতিদিন জিনিসপত্রের দাম জানতে পারবেন।