নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: নিউটাউনে (Newtown) নাবালিকা দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য! ই-রিক্সায় (E-Rickshaw) ওঠাই কি কাল হয়ে দাঁড়াল নাবালিকার? ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রথমে ধর্ষণ করা হয় নাবালিকাকে। পরে তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। নাবালিকার শরীরে একাধিক জায়গায় নখের আঁচড়ের দাগ পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ই-রিক্সা চালক সৌমিত্র রায় যাত্রীদের নামানোর জন্য নিউটাউনে আসে। সেই সময় নাবালিকা মেয়েটি ওই ই -রিক্সাতে (E-Rickshaw) বসে ছিল। নাবালিকা মেয়েটি চালকের কাছে খাবার চাইলে সে তাকে নিকটস্থ একটি খাবারের দোকান থেকে খাবার কিনে দেওয়ার কথা বলে। এরপর সে মেয়েটিকে নিউটাউন (Newtown) লোহাপুলের কাছে একটি পরিত্যক্ত জঙ্গলে নিয়ে যায়।
জানা গিয়েছে, ই রিকশাতে (E-Rickshaw) ওঠার পরেই ওই নাবালিকার ওপর অভিযুক্ত সৌমিত্র রায়ের কু নজর পড়েছিল। লোহাপুলের কাছে যেতেই ওই পরিত্যক্ত জঙ্গলের কাছে গিয়ে তার রিক্সাটি থামিয়ে ওই নাবালিকার গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করে সে। নাবালিকা চিৎকার করতে গেলে রবারের বেল্ট বা দড়ি জাতীয় কিছু দিয়ে তার গলায় ফাঁস লাগানোর চেষ্টা করে। এরপর অজ্ঞান হয়ে যায় ওই নাবালিকা। পরিত্যক্ত জঙ্গলটি ঘেরা ছিল ফেনসিং দিয়ে। তার কাঁটা অংশ দিয়ে প্রথমে ওই নাবালিকাকে ছুঁড়ে ফেলে ভেতরে, তারপরে নিজে ঢুকে তাকে জঙ্গলের মাঝে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।