Tollygunge: টালিগঞ্জে ভয়াবহ ডাকাতি, ১০ ভরি সোনা লুট

অপরাধ কলকাতা শহর

নিউজ পোল ব্যুরো: সেন্ট্রাল এভিনিউ(Central Avenue) এবং দমদমের(Dumdum) পর এবার টালিগঞ্জের(Tollygunge) মোর এভিনিউয়ে ঘটল আরও একটি ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা। সোমবার সন্ধ্যা সাতটার সময়, টালিগঞ্জের ৪৫ C/১২A মোর এভিনিউ(Tollygunge), দাসানি স্টুডিওর(Dasani Studio) পাশের এক ফ্ল্যাটে এই ঘটনা ঘটে। গৃহবধূ সোনালী বিশ্বাস নিজের ফ্ল্যাটে ঢোকার সাথে সাথেই এই ডাকাতি সংঘটিত হয়।সোনালী বিশ্বাস জানান, দরজা খোলার মুহূর্তেই দুজন ব্যক্তি হঠাৎ পিছন থেকে এসে তার হাত চেপে ধরে। প্রতিরোধ করার সুযোগ না দিয়ে তাকে জোরে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়। সেই ধাক্কায় তার মাথায় গুরুতর চোট লাগে। এরপর আততায়ীরা(Dacoits) তাকে হুমকি দেয় এবং বলে, “যত সোনা আছে তাড়াতাড়ি বের করো।”

নিউজ পোল ফেসবুক পেজের লিংক: https://www.facebook.com/61568474920385/posts/pfbid0nxMemTVCPsWyep77ST58nBPN2XkgXBbWD7byMAhUs1fJod6h57JKXXQ6XRhGrR1Pl/

তাদের মধ্যে একজন একটি ধারালো ছুরি দেখিয়ে বলেন, চিৎকার করলে তাকে মেরে ফেলা হবে। আতঙ্কিত সোনালী বিশ্বাস প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে সমস্ত সোনাদানা বের করে দেন। জানা গিয়েছে, বাড়িতে ছেলের বিয়ের জন্য রাখা প্রায় দশ ভড়ি সোনা ডাকাতরা নিয়ে যায়(Tollygunge Incident)। ডাকাতরা কেবল লুটপাট করেই ক্ষান্ত থাকেনি। তারা মহিলার মুখে কাপড় ঢুকিয়ে তার হাত বাঁধে এবং অচৈতন্য অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়(Dacoits)। সন্ধ্যায় তার স্বামী বাড়ি ফিরে দেখেন, ঘর সম্পূর্ণ অগোছালো অবস্থায় রয়েছে। সমস্ত জিনিসপত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে। তার স্ত্রীকে মেঝেতে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তিনি হতবাক হয়ে যান(Tollygunge Incident)।

এই ভয়ঙ্কর ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুরো ঘটনাস্থল(Tollygunge Incident) ঘিরে ফেলে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ফ্ল্যাটটি সিসি ক্যামেরায় ঢাকা ছিল। তবে প্রশ্ন উঠছে, কিভাবে আততায়ীরা(Dacoits) ফ্ল্যাটে ঢুকতে পারল(Tollygunge Incident)। পুলিশ ইতিমধ্যেই সিসি ক্যামেরার(CCTV Camera) ফুটেজ সংগ্রহ করেছে এবং তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এলাকার বাসিন্দারা এই ধরনের ক্রমবর্ধমান অপরাধের ঘটনায় ভীষণ ভীত। সেন্ট্রাল এভিনিউ ও দমদমের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এই নতুন ঘটনায়(Tollygunge Incident) তারা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।