নিউজ পোল ব্যুরো: কেরলের পল্লিকাল গ্রামে এক অদ্ভুত সমস্যার সমাধান নিয়ে রীতিমতো হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। সমস্যার কেন্দ্রে রয়েছেন বৃদ্ধ রাধাকৃষ্ণ কুরুপ(Radhakrishna Kurup), তাঁর ঘুমের শত্রু হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে পাশের বাড়ির মোরগ (Crowing of Rooster) !রাধাকৃষ্ণের অভিযোগ—প্রতিদিন রাত ঠিক ৩টেয় মোরগটি এমন জোরে ডাকে(Crowing of Rooster) যে তাঁর ঘুম ভেঙে যায়। মোরগের ডাক যেন রাধাকৃষ্ণের কাছে এক দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠেছে। দিনের পর দিন এই বিরক্তিকর ঘটনা(Morning Crowing Rooster) চলতে থাকায় তাঁর শারীরিক অবস্থাও নাকি খারাপের দিকে যেতে শুরু করে। আর সহ্য করতে না পেরে অবশেষে তিনি অভিযোগ জানান প্রশাসনের কাছে।
আরও পড়ুন: https://www.facebook.com/share/p/1968bYqu5J/
ঘটনার নায়ক মোরগটির মালিক অনিল কুমার, যাঁর বাড়ির মোরগের ঘরটি এমন এক জায়গায় রাখা, যা রাধাকৃষ্ণ কুরুপের শোয়ার ঘরের একেবারে সামনেই। মোরগটির(Rooster) জীবনের রুটিন খুবই নির্দিষ্ট—রাত তিনটায় নিয়ম করে ডেকে উঠবেই। রাধাকৃষ্ণের অভিযোগ বেশ গুরুত্ব সহকারে নেন রেভিনিউ ডিভিশনাল অফিসার। তৎক্ষণাৎ তিনি দুজনকেই ডেকে পাঠান। ঘটনাস্থল(Morning Crowing of Rooster) পরিদর্শন করার পর একটি অভিনব সমাধান বের করা হয়—মোরগের থাকার জায়গা সরাতে হবে। নতুন জায়গাটি অবশ্যই কুরুপের বাড়ি থেকে ভালো দূরত্বে হতে হবে। এই কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য ১৪ দিনের সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার এমন মজাদার সমাপ্তি শুনে গ্রামবাসীরা বেশ অবাক। তবে বৃদ্ধ রাধাকৃষ্ণ কুরুপ(Radhakrishna Kurup) যেন এক গভীর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন। “মোরগের ডাকের হাত থেকে মুক্তি পেলাম!”—এমনই প্রতিক্রিয়া তাঁর। আর মোরগটি?(Rooster) সে তার নতুন ঘরে কী ভাবে ডাকবে, তা নিয়ে এখন গ্রামে আলোচনা তুঙ্গে!