নিউজ পোল ব্যুরো: সম্প্রতি কলকাতা শহরে একের পর এক রহস্যজনক মৃত্যুর (Mysterious Death) ঘটনা সামনে আসছে। কিছুদিন আগেই ট্যাংরার (Tangra) এক ভয়াবহ ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল, আর এবার বেহালার (Behala) শকুন্তলা পার্কে (Shakuntala Park) ঘটল আরও এক মর্মান্তিক ঘটনা। শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি অফিস ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে এক ব্যবসায়ী ও তাঁর মেয়ের ঝুলন্ত দেহ(Behala Incident)। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবার ও তদন্তকারীরা এখনও নিশ্চিত নন, এটি আত্মহত্যা (Suicide) নাকি পরিকল্পিত খুন (Murder)। মৃত ব্যক্তির নাম স্বজন দাস, বয়স ৫৩ বছর। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী (Businessman) এবং চিমনি ও ওয়াটার পিউরিফায়ারের (Water Purifier) দোকান চালাতেন। তাঁর বাড়ি মহেশতলার (Maheshtala) নুঙ্গিতে। পরিবারের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই তিনি মানসিক চাপ (Mental Stress) ও ডিপ্রেশনে (Depression) ভুগছিলেন। একইসঙ্গে তাঁর ২২ বছর বয়সী মেয়েও শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন।
আরও পড়ুন:- https://thenewspole.com/2025/02/28/kolkata-high-court-ratna-chatterjee-divorce-case/
শুক্রবার দুপুর ১টা নাগাদ মেয়েকে ডাক্তার দেখানোর নাম করে বাড়ি থেকে বের হন স্বজন দাস। কিন্তু দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও বাড়ি না ফেরায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তাঁর স্ত্রী। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামলেও তাঁদের কোনও খোঁজ মেলেনি। এরপর সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ শকুন্তলা পার্কে (Shakuntala Park) স্বজন দাসের অফিস ঘর থেকে উদ্ধার হয় বাবা-মেয়ের ঝুলন্ত দেহ। এই ঘটনার(Behala Incident) পরই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পর্ণশ্রী থানার (Parnashree Police Station) পুলিশ। পরে তদন্তের দায়িত্ব নেয় লালবাজারের (Lalbazar) হোমিসাইড শাখা (Homicide Department)।
নিউজ পোল বাংলা ফেসবুক পেজের লিঙ্ক:- https://www.facebook.com/share/164mWXbsyp/
প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, দীর্ঘদিনের মানসিক অবসাদের (Mental Depression) কারণে স্বজন দাস নিজের মেয়েকে হত্যা (Murder) করে আত্মহত্যা (Suicide) করেছেন। তবে পুলিশ অন্য কোনও সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না। ফরেনসিক টিম (Forensic Team) ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে। এই ঘটনার পর স্বজন দাসের পরিবার সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। স্বজনের স্ত্রী এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না এই ঘটনা। তাঁদের দাবি, স্বজন ও তাঁর মেয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন, তবে তাঁরা যে এই পথ বেছে নেবেন, তা কল্পনাও করা যায়নি। এই ঘটনার(Behala Incident) আসল কারণ কী, তা জানতে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। এটা নিছক আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যা, তা সময়ই বলবে।