নিউজ পোল ব্যুরো: নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশনের কাছে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের (Indian Oil Corporation – IOC) বিপরীতে তেলের গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে (NJP Fire Incident)। অভিযোগ, বেআইনিভাবে (illegal storage) চোরাই তেল (smuggled oil) মজুত করা হচ্ছিল। বুধবার মাঝরাতে হঠাৎ এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দমকলের (fire brigade) তিনটি ইঞ্জিন প্রায় তিন ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও এই ঘটনায় প্রশাসনের (administration) ভূমিকা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
আরও পড়ুন:- Haldia: হলদিয়া বন্দরে এসে নিখোঁজ বাংলাদেশী নাবিক, ৬ দিন পরেও মিলল না খোঁজ

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, গভীর রাতে আচমকাই গুদাম থেকে আগুনের লেলিহান শিখা (massive flames) দেখা যায়। আগুন লাগার সঠিক কারণ এখনও স্পষ্ট নয়, তবে স্থানীয়দের দাবি, ওই এলাকায় বেআইনিভাবে বিপুল পরিমাণ তেল মজুত (illegal oil storage) করা হচ্ছিল। কেউ কেউ দাবি করছেন, দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদের (clash) জেরেই গুদামে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। যদিও এই অভিযোগের সত্যতা এখনও প্রমাণিত হয়নি। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে গোটা এলাকা ধোঁয়ায় (smoke) ঢেকে যায়। আতঙ্কে (NJP Fire Incident) ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। গুদামের ভেতরে সারিবদ্ধভাবে রাখা তেলের ড্রামে (oil drums) প্রথমে আগুন ধরে। পরপর বিস্ফোরণের (explosions) শব্দ শুনে স্থানীয়রা ছুটে আসেন। প্রথমে আগুন জল (water) দিয়ে নেভানোর চেষ্টা করা হলেও, তাতে কাজ হয়নি। এরপর আইওসি (IOC) কর্তৃপক্ষের সহায়তায় ফোম (foam) ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু হয়। ততক্ষণে শিলিগুড়ি (Siliguri) ও ফুলবাড়ি (Fulbari) দমকল কেন্দ্র থেকে তিনটি ইঞ্জিন এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। অবশেষে তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
নিউজ পোল বাংলা ফেসবুক পেজের লিঙ্ক:- https://www.facebook.com/share/1XhiZuM5DK/
এই ঘটনা (NJP Fire Incident) সামনে আসার পর প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগ, আগেও একই এলাকায় ১০ বারের বেশি অগ্নিকাণ্ড (fire incidents) ঘটেছে, কিন্তু প্রশাসন (government authorities) তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) নেতা জয়দীপ নন্দী পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, “বারবার কেন আগুন লাগে, সেটা পুলিশ বলতে পারবে। এখানে নজরদারির (police surveillance) অভাব রয়েছে। সাধারণ মানুষের প্রাণ ঝুঁকির মধ্যে থাকছে। যদি কর্তৃপক্ষ মনে করে যে কয়েকদিন দায়িত্ব পালন করে বদলি হয়ে যাবে, তাহলে এই ধরনের ঘটনা চলতেই থাকবে।”
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT

দমকল বাহিনীর (fire department) তরফে অফিসার ডি রায় বলেন, “আমরা খবর পেয়ে এসে দেখি তেলের ড্রামে আগুন জ্বলছে। পরিস্থিতি বুঝেই সঙ্গে সঙ্গে ফোম চার্জ (foam charge) করা হয়। আমাদের তিনটি ইঞ্জিন মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে কী কারণে এখানে এত পরিমাণ তেল মজুত ছিল, তা তদন্ত করে দেখা হবে।” স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত প্রশাসনের (government action) হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। বেআইনিভাবে তেল মজুতের বিষয়টি বারবার সামনে এলেও প্রশাসনের তরফ থেকে কোনো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তবে ভবিষ্যতে আরও বড় বিপদ ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা