Basanti Puja Protest: আগুনে ছারখার বাসন্তী পূজোর প্যান্ডেল

জেলা রাজ্য

শ্যামল নন্দী, বারাসাত: বাসন্তী পূজার (Basanti Puja Celebration) আয়োজন ঘিরে তৈরি হলো চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি। উত্তর ২৪ পরগণার গোবরডাঙ্গার বেরগুম কাছারি বাড়ি এলাকায় চল্লিশ বছরের পুরনো এই বাসন্তী পূজো। শনিবার গভীর রাতে দুষ্কৃতীদের অগ্নিসংযোগে (Arson Attack) ভস্মীভূত হলো পূজোর প্যান্ডেল ও প্রতিমার (Puja Pandal and Idol Burnt) একাংশ। প্রতিবাদে (Basanti Puja Protest) স্থানীয় বাসিন্দারা (Local Residents Protest) প্রায় চল্লিশ মিনিট ধরে রাস্তায় বসে অবরোধ (Road Blockade) করেন। প্রতি বছরের মতো এবারও বেরগুম কাছারি বাড়ি এলাকায় অগ্রদূত সংঘ ক্লাবের (Agradut Sangha Club) পক্ষ থেকে বাসন্তী পূজার আয়োজন করা হয়েছিল। এই পূজা চলছে চল্লিশ বছর ধরে। ক্লাব সদস্য ও স্থানীয়দের উদ্যোগে বেশ ঘটা করেই শুরু হয় পূজা। প্যান্ডেল তৈরি, প্রতিমা স্থাপন সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল।

আরও পড়ুন:- Basanti Puja: দেড়শো বছরের ঐতিহ্যপূর্ণ এই বাসন্তী পূজা

তবে, শনিবার গভীর রাতে পরিস্থিতির মোড় ঘুরে যায়। একজন ক্লাব সদস্য জানান, “রাত দুটো পর্যন্ত আমরা পাহারা দিচ্ছিলাম। সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু ভোর চারটে নাগাদ দেখি প্যান্ডেলে আগুন জ্বলছে। আমরা ছুটে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। তবে কে বা কারা আগুন ধরালো, সেটা কাউকে দেখা যায়নি।” প্রতিবেশীরাও জানিয়েছেন, তারা প্রথমে ধোঁয়া দেখে সন্দেহ করেন। পরে কাছে গিয়ে দেখেন, প্যান্ডেলের পিছন দিক থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। আগুনের তাপে প্রতিমার একাংশ পুড়ে গিয়ে মাটিতে পড়ে যায়। এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। সকালে ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়তেই গোটা এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। রবিবার সকালে, পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় বেরগুম কাছারি বাড়ি মোড়ে (Berughum Kachari Bari More) স্থানীয়রা পথ অবরোধ করেন। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে রাস্তা অবরোধ চলতে থাকে। এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে চরম উত্তেজনা। পুলিশ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগও ওঠে।

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT

খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে (Basanti Puja Protest) পৌঁছান হাবড়ার এসডিপিও (SDPO Habra), হাবড়া থানার আইসি (IC Habra), এবং গোবরডাঙ্গা থানার ওসি (Gobardanga Police Officer-in-Charge)। বিশাল পুলিশবাহিনী নামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। গোবরডাঙ্গা থানার পুলিশ জানিয়েছে, কে বা কারা রাতের অন্ধকারে এই দুষ্কৃতিমূলক কাজ করেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে। ক্লাব কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকেও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।পূজোয় আগুন লাগার মতো ঘটনা সাধারণত খুব কমই দেখা যায়, তাই স্থানীয়দের প্রশ্ন— “কারা এই পবিত্র অনুষ্ঠানে এমন ন্যাক্কারজনক কাজ করলো?” অনেকেই বলছেন, এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ষড়যন্ত্র (Deliberate Sabotage)। প্রশাসনের কাছে তারা দ্রুত দোষীদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।