নিউজ পোল ব্যুরো: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) আবারও চীনা পণ্যের (Chinese products) উপর অতিরিক্ত ৫০% শুল্ক (tariff) বসানোর হুমকি দিয়েছেন। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধ (US-China trade war) আরও তীব্র আকার নিচ্ছে। চীন এই নতুন সিদ্ধান্তকে সরাসরি ‘ব্ল্যাকমেইল’ (blackmail) বলে উল্লেখ করেছে এবং কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে।চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় (China’s Ministry of Commerce) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “আমেরিকা যদি নিজের অবস্থানে অটল থাকে, তাহলে চীনও শেষ পর্যন্ত লড়বে।” বেইজিং আরও বলেছে, এই ধরনের একতরফা সিদ্ধান্ত শুধু অর্থনৈতিক চাপ নয়, বরং এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জবরদস্তিমূলক কৌশলের (unilateral and coercive strategy) প্রতিচ্ছবি।ট্রাম্প সম্প্রতি জানিয়েছেন, যদি চীন গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের উপর আরোপিত ৩৪% শুল্ক তুলে না নেয়, তাহলে বুধবার থেকেই চীনা পণ্যের উপর আরও ৫০% শুল্ক বসবে। এতে চীনা পণ্যের উপর মোট শুল্ক দাঁড়াতে পারে ১০৪%। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত মার্কিন বাজারের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
আরও পড়ুন:- Chinese Airbase in Bangladesh: ৭০০ একর জমি চিনের হাতে? বাংলাদেশের সিদ্ধান্তে রুষ্ট ভারত!
চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “এটা ভুলের পর ভুল, যা আবারও প্রমাণ করে যে আমেরিকার লক্ষ্য চীনের উপর চাপ সৃষ্টি করা।” বেইজিং-এর মতে, “বাণিজ্য যুদ্ধে কোনো পক্ষই জয়ী হয় না।” তারা সমাধান চায় আলোচনার মাধ্যমে (negotiation)। চীন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, তারা প্রস্তুত একটি পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্য যুদ্ধের (full-scale trade war) জন্য। ২০১৭ সালে শুরু হওয়া এই সংঘাতে চীন বারবার বলেছে, (US-China Trade War) তারা চাপের মুখে মাথা নোয়াবে না। বরং এই চাপ তাদের আরও শক্তিশালী (resilient) করে তুলছে। এই ঘোষণার ফলে আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতেও বড় ধাক্কা লেগেছে। মার্কিন বাজারে অস্থিরতা ছড়িয়েছে, আর আন্তর্জাতিক শেয়ারবাজার (global stock market) পড়ে গেছে। বিশেষ করে হংকংয়ের হ্যাং সেং সূচক (Hang Seng Index) সোমবার ১৩.২% নেমে গেছে, যা ১৯৯৭ সালের এশিয়ান আর্থিক সংকটের (Asian Financial Crisis) পর সবচেয়ে বড় পতন।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের নিজের অর্থনীতির জন্যও বিপদ ডেকে আনতে পারে। Economist Intelligence Unit-এর সিনিয়র অর্থনীতিবিদ জু তিয়ানচেন (Zhu Tianchen) বলেছেন, “চীন এর মধ্যেই ৬০% শুল্কের আওতায় রয়েছে। আরও ৫০% বা ৫০০% শুল্ক দিলেও বাস্তবে তেমন প্রভাব পড়বে না।” তিনি আরও বলেন, চীন পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিপণ্য (US agricultural imports) আমদানি বন্ধ করতে পারে। পাশাপাশি তারা প্রযুক্তিগত কাঁচামাল (technological raw materials) ও দুর্লভ রাসায়নিক উপাদান (rare chemical exports)-এর রপ্তানির উপর কড়াকড়ি আরোপ করতে পারে। বিশ্বজুড়ে এখন একটা বড় প্রশ্ন (US-China Trade War) —এই বাণিজ্য যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত কার জয় হবে? তবে একটা বিষয় পরিষ্কার, এই সংঘাত শুধু চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। এর প্রভাব পড়বে সারা বিশ্বের উপর।